স্পোর্টস ডেস্ক : দুই টেস্টের সিরিজ জিততে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ২৭৯ রানের। আগের দিন ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপেই ছিল তারা। চতুর্থ দিন ৮০ রানে পড়েছে পঞ্চম উইকেট! কঠিন সেই পরিস্থিতি থেকে রোমাঞ্চকর এক জয় ছিনিয়ে এনেছে অজি দল। থ্রিলারে পরিণত হওয় ক্রাইস্টাচার্চ টেস্টে তারা নিউজিল্যান্ডকে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে।
অ্যালেক্স ক্যারি আর মার্শের ১৪০ রানের জুটি অজিদের উদ্ধার করেছিল। এই জুটিতে ৫ উইকেটেই অজিদের স্কোর দাঁড়ায় ২২০ রান! ঠিক তখনই ম্যাচটার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মোমেন্টাম পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। অভিষিক্ত পেসার বেন সিয়ার্স পর পর দুই ডেলিভারিতে মার্শ (৮০) ও স্টার্ককে (০) আউট করলে বাকি ৩ উইকেটে অজিদের প্রয়োজন পড়ে ৫৯ রানের! মার্শকে ফেরানো গেলেও পাহাড়সম চাপের সময় টলানো যায়নি অ্যালেক্স ক্যারিকে। প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। বাউন্ডারি মেরে উইনিং রান নিয়েছেন অধিনায়ক কামিন্স। দুর্ভাগ্য দৃঢ়চেতা মনোবল নিয়ে ব্যাট করতে থাকা ক্যারি দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। অপরাজিত ছিলেন ৯৮ রানে। কামিন্স ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন। মার্শ-ক্যারির পর বড় জুটি ছিল এটি। তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেছেন ৬১ রান! অথচ এই টেস্ট দিয়ে ঘরের মাঠে ৩১ বছর পর অজিদের হারানোর আশায় ছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ দিন সেই পরিকল্পনা সফল হতো, যদি না মার্শকে ২৮ রানে তারা জীবন দিতেন! তার ক্যাচ ছেড়েছেন রাচিন রবীন্দ্র। তার পরের বলেই ট্রাভিস হেডকে সাউদি তুলে নিয়েছেন!
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ১৬২ (ল্যাথাম ৩৮, হেনরি ২৯; হ্যাজলউড ৫/৩১) ও ৩৭২ (রবীন্দ্র ৮২, ল্যাথাম ৭৩, উইলিয়ামসন ৫১; কামিন্স ৪/৬২, লায়ন ৩/৪৯)
অস্ট্রেলিয়া : ২৫৬ (লাবুশেন ৯০; হেনরি ৭/৬৭) ও ২৮১/৭ (ক্যারি ৯৮*, মার্শ ৮০, কামিন্স ৩২*; সিয়ার্স ৪/৯০)
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজসেরা : ম্যাট হেনরি (১০১ রান ও ১৭ উইকেট)
ম্যাচসেরা : অ্যালেক্স ক্যারি (৯৮* ও ১০টি ক্যাচ)
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।