স্পোর্টস ডেস্ক : টানা চার ম্যাচ জয়হীন, টানা তিন হার, সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না ব্রাজিলের। সবশেষ জয় গত বছর সেপ্টেম্বরে পেরুর বিপক্ষে। আবার ২০০৯ সালের পর থেকে ব্রাজিল কখনো ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। সবমিলিয়ে তাই প্রীতি ম্যাচের শুরুতে ফেভারিট ছিল ইংল্যান্ডই। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে যারা অপরাজিত। খেলাটাও তাদের ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে। যেখানে গত বিশ বছর ধরে হারেনি ইংলিশরা। তবে ইংলিশদের মাটিতে শেষটা হয়েছে ব্রাজিলের জয়ে।
এন্ড্রিকের একমাত্র গোলে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো এই তরুণ। ২০০৯ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই ব্রাজিলের প্রথম জয়। ১৫ বছরের ব্যবধানে যেই জয়টা এলো দরিভাল জুনিয়রের অধীনে। ভারপ্রাপ্ত কোচদের অধীনে টানা তিন ম্যাচ হারের পর নতুন কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিল ব্রাজিল, যা আশার পালে হাওয়া লাগিয়েছে ব্রাজিল সমর্থকদের।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু থেকেই দাপট দেখায় সেলেকাওরা। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রদ্রিগো। তবে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক। এরপর ম্যাচের ১২ মিনিটে আরও একবার সুযোগ হাতছাড়া করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের পুরোটা সময়জুড়ে বেশ কিছু সুযোগ মেলেও নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে তা কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিয়াসরা। অন্যদিকে বল পজিশনে এগিয়ে থেকেও প্রথমার্ধে ব্রাজিলের সীমানায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাজিলের ওপর চাপ বাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেননি হ্যারি কেইনকে ছাড়া খেলতে নামা দলটি। এর মধ্যে ম্যাচের ৭১ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি নেমে তার ৯ মিনিট বাদেই গোল করেছেন বিস্ময়বালক এন্ড্রিক। রোনালদোর পর চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে দেশের হয়ে গোলের রেকর্ড এখন এই ব্রাজিলিয়ানের দখলে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।