ভিডিও

রাতারাতি দুর্নীতি বন্ধ করা যে সম্ভব নয় : ফারুক আহমেদ

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০২:২২ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০২:৪০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনই বিসিবিতে দুর্নীতির বিষয়ে কথা বললেন ফারুক আহমেদ। 

গতকাল বুধবার বিকেলে মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো রাখ-ঢাক না করেই তিনি বললেন, প্রতিটা সেক্টরেই দুর্নীতি হয়েছে বাংলাদেশে। এটা আমরা সবাই জানি। আমরা তো সবাই বাংলাদেশেরই মানুষ। এক্ষেত্রেও কিন্তু, প্রতিটা সংগঠনে যেমন দুর্নীতির কথা শুনেছি; ক্রিকেট বোর্ড এটার বাইরে না। যদি এরকম কিছু থাকে, এটা আমরা লুক আফটার করবো। আমরা দেখবো জিনিসটা কী হয়েছে। তবে চাইলেই রাতারাতি দুর্নীতি বন্ধ করা যে সম্ভব নয়, সে বাস্তবতাও দেখালেন নতুন সভাপতি। তিনি বলেন, দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। এটা কেউ যদি বলে, আমি তার কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করবো না; কিন্তু একটা সিস্টেম চালু করতে হবে। যেখান থেকে আমরা এই জিনিসগুলো (দুর্নীতি) কমাতে পারবো। একসময় দুর্নীতমুক্ত একটা জায়গা পাবো। কেন দুর্নীতি চাইলেই পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না? তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন নতুন সভাপতি, অনেক সময় অনেক কাজ করা যায় না। অনেক ধরনের আউটসাইড প্রেশার থাকে। আশা করবো এবার আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় যতটুকু সম্ভব সুন্দর সিস্টেম দাঁড়া করাতে চাই।

ফারুক আহমেদ যখন প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাদের বিপক্ষে লড়াই করে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। ফারুক বলেন, ‘সাবেক কমিটির বিপক্ষে লড়াই এটা পুরোনো কথা, একটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমি পদত্যাগ করেছিলাম। এটা আমার সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি থাকবে যে সিস্টেমটা আমি তৈরি করতে চাই।’ বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময়ী দেশ। অন্য অনেকের মত ফারুক আহমেদও স্মরণ করিয়ে দিলেন সে কথা। কিন্তু তার মত হচ্ছে, এই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। যে কারণে যতটা ফল পাওয়ার কথা ছিল, ততটা পাওয়া যায়নি। ফারুক বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের মতো একটা সম্ভাবনাময় দেশে; আমাদের যতটুকু করার দরকার ছিল ততটুকু করতে পারিনি। তবে এটাও বলতে হবে যে, আমাদের সাফল্য একদম কম না। হয়তো কিছু পার্টিকুলার সেক্টরে আমরা আরও উন্নতি করার কথা ছিল। যেগুলো করতে পারিনি। এখন আমাদের দায়িত্ব হবে এই সিস্টেমটাকে রিবিল্ড করার।’ বিসিবিতে আগামী নির্বাচনের আগে গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন করতে হবে বলেও জানান ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমি এটাও চাই যে, আলোকপাত করতে হবে আমরা যে গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত হই এবং ইভেনচুয়ালি প্রেসিডেন্ট হই, (এটার প্রতি)। এই গঠনতন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের চিন্তা করতে হবে, ভালো কী হয়! সামনের বছর আরেকটা নির্বাচন আছে। সম্ভবত তার আগে গঠনতন্ত্রে একটু হাত দিতে হবে। যেটা আমরা করব, যাতে সত্যি সত্যি যারা ক্রিকেট ভালোবাসে, ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চায়, তাদের আসলে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’

নতুন সভাপতি বলেন, আমি জানি ১৮ কোটি মানুষের দেশে। আমাদের দেশে আপনারা, আমরা খেলোয়াড়রা, আমাদের দর্শক যারা আছেন; তারা এতটা ক্রিকেট পাগল। এখানে অনেক এলিমেন্ট ঢুকে যায়। আমাদের ক্রিকেট বোর্ড খুব বেশি গ্ল্যামারাস হয়ে যায়, তখন সবাই এটার অংশ পেতে চায় আরকি। আমি চাইবো, অবশ্যই যাদের প্রয়োজনে হবে সঙ্গে নেবো। কিন্তু এটার প্রথম ক্রাইটেরিয়া হবে ক্রিকেট উন্নতি। সবার আগে আমি যদি চিন্তা করি, আমি বাংলাদেশি এবং পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল-আমার দল তাহলে কিন্তু আমরা অনেক সমস্যা থেকে বের হতে পারবো। তখন এখানে কোনো পার্সোনাল লাইকিং থাকবে না। তখন কোন পার্সোনাল এজেন্ডা থাকবে না। দেখবেন সব ইন প্লেস হবে। তার মানে আমাদের দেশ এবং আমাদের দল সবার আগে। তারপরে ইন্ডিভিজুয়ালগুলো ফিট ইন করবে। ফারুক আহমেদ বলেন, আমি সবাইকে এই বার্তা পরিষ্কারভাবে দিতে চাই- আমি যদি দেশ ও দলের কথা চিন্তা করি, তখন কিন্তু অন্য জায়গাগুলো গৌণ হয়ে যাবে। এ পছন্দের, ও পছন্দের এটা কমে যাবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS