ভিডিও

পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর কড়া বার্তা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ১১:৪৯ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৫:৩৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন, পরিমার্জন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত এই কমিটিতে ধর্মবিদ্বেষীরা রয়েছে দাবি করে কড়া বার্তা দিয়েছেন ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি এই বার্তা দেন।

যেখানে শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কী পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্মবিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বেইমানি।’একই সঙ্গে সেই পোস্টের কমেন্টে গিয়ে একাধিক স্ক্রিনশটও দেন ইসলামী এই আলোচক। এক কমেন্টে তিনি বলেন, ‘অবাক করা ব্যাপার হলো, এসব ধর্মবিদ্বেষীরা কেউ কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক বিশেষজ্ঞও না। তবুও এদেরকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের ওপর।’

তিনি কমেন্টে আরও লেখেন, ‘আমাদের সন্তানদের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনার দায়িত্ব পেয়েছে এরকম কিছু মানুষ, যারা এদেশের মানুষের ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এটা একই সঙ্গে আপত্তির ও উদ্বেগের। বরং বলা ভালো, এটা আবু সাঈদের মতো ধর্মপ্রাণ শহীদদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা।’এ সময় শায়খ আহমাদুল্লাহ কামরুল ইসলাম মামুন ও সামিনা লুতফার নাম লিখে তাদের অনতিবিলম্বে অপসারণেরও দাবি তোলেন তিনি।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় কমিটিতে কোনো ইসলামি বিশেষজ্ঞ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সেমিনার কক্ষে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS