ভিডিও

নাগেশ্বরীতে প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:৩৬ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:৩৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : নাগেশ্বরীতে প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত জাহিদুল ইসলাম (৩৫) ভিতরবন্দ কোচপাড়ার বয়েজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন নিহতের পরিবার।

মামলা সুত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী যুবক জাহিদুল গত ২ আগস্ট সকালে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায়। অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। ৩ সেপ্টম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে তার খোঁজ পায় পরিবারের লোকজন। অজ্ঞাত পরিচয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদুলকে ৫ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে উদ্ধার করে তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন।

নিহতের বড়ভাই এমদাদুল হক জানান, তার কাছেই তারা জানতে পারেন নিখোঁজের দুইদিন পর ৪ আগস্ট জাহেদুল হাসনাবাদ ইউনিয়নের চন্ডীপুরের হবিবর রহমান পানাতীর ছেলে নজরুল ইসলামের (৩০) বাড়িতে যাওয়ার সময় তার স্ত্রীকে পুকুরে গোসল করতে দেখে হাসাহাসি করে।

এটি গৃহবধূ তার বাড়িতে জানালে তার স্বামী নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দবির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০) তাকে বেদম মারপিট করেন। এতে সে গুরুতর আহত হলে তারা তাকে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে গোপনে তারা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বাসায় ফিরে আসেন। সেখানে সে এতদিন অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন ছিল।

৫ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর ফের অসুস্থ হলে ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা সদর হ্সপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন।

পরে তারা পরিবারের সাথে পরামর্শ করে ১২ সেপ্টম্বর কুড়িগ্রাম পপুলারে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে এনে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধ সেবন ও শুশ্রুষা দিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় ২২ সেপ্টম্বর বিকেল ৪ টায় বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই এমদাদুল হক বাদি হয়ে রোববার রাতেই নাগেশ্বরী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হামনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সত্য নয়। নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপ কুমার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS