ভিডিও

বগুড়ার সাতমাথাস্থ গাড়ি পার্কিংজোন এখন যানজটের অন্যতম কারণ

নাগরিকদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১০:৩৬ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১০:৩৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথার গাড়ি পার্কিংজোন যানজটের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। এই পার্কিংজোনের কারণে প্রতিদিন সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বগুড়া শহরে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কোন নির্ধারিত স্থান না থাকায় পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রায় এক দশক আগে বগুড়া জিলা স্কুলের উত্তর পশ্চিম কোনে পার্কিংজোন নির্মাণ করে।

ফুটপাতের উত্তরে রাস্তার প্রায় ১৫ ফুট  জায়গা নিয়ে সিসি ঢালাই করে নির্মান করা হয় পার্কিং জোন। রাস্তা দখল করে পার্কিংজোন করায় রাস্তার প্রশস্ততা কমে গেছে। প্রশস্ততা কমে যাওয়ায় নবাববাড়ির দিক থেকে আসা যান বাহনের চাপ পড়ে এখানে। ফলে সাতমাথায় সব সময় যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে পার্কিংজোনে গাড়ি না থাকলে ভ্রাম্যমান দোকানীদের দখলে থাকছে। পার্কিং জোন অপসারণ করে রাস্তা স্বাভাবিক করার দাবি করেছেন শহরের বিশিষ্ট জনেরা।

কথা হয় বগুড়া উপশহর এলাকার প্রকৌশলী আহম্মেদ আলীর সাথে। তিনি জানান, একটি শহরের ২৫ ভাগ এরিয়া রাস্তা থাকার কথা, সেখানে বগুড়ায় মনে হয় ১০ ভাগও নাই। রাস্তা না থাকলে যানজট থাকবেই। এই প্রকৌশলী জানান, শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুলে পশ্চিম উত্তর কোটে রাস্তা দখল করে গড়ি পার্কিং জোন করা হয়েছে। যা একটি আদর্শ শহরের জন্য প্রযোজ্য নয়।

তিনি বলেন এই পার্কিং জোন তুলে ফেলা উচিৎ, পার্কিং জোন তুলে ফেললে রাস্তা প্রশস্ত হবে। তিনি আরও বলেন শহরের অনেক রাস্তা আছে যে গুলো অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন ইচ্ছে করলেই রাস্তা দখল মুক্ত করে শহর যানজট মুক্ত করতে পারে।

এদিকে শহরের সুত্রাপুরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ছামসুল আলম জানান, শহরের কাঁঠালতলা থেকে রাজাবাজার হয়ে বড়গোলা পর্যন্ত যে রাস্তা গেছে তা দখল মুক্তকরে এক মুখি পথ করা যেতে পারে। বড় গোলা থেকে যারা চেলোপাড়া, মালতিনগর, জজ কোর্ট. সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সার্কিট হাউস, বকশি বাজার যাবে তারা এই রাস্তা ব্যবহার করবে।

তাহলে শহরের সাতমাথায় চাপ কমবে। তিনি সাতমাথার পার্কিংজোন তুলে দেওয়ার পক্ষেও মত দেন। এই সাবেক শিক্ষক বলেন, আগে শহরে গাড়ি পার্কিংজোন ছিলো না। এখন একাধিক পার্কিংজোন হয়েছে। পুলিশ প্লাজা, রানার প্লাজায় গাড়ি পার্কিং করার সুবিধা আছে তাই শহরের কেন্দ্রবিন্দু থেকে পার্কিংজোন তুলে দেওয়া ভালো।

পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস জানান, আগে শহরে পার্কিংজোন ছিলো না তাই এটি করা হয়েছিলো। বর্তমানে অনেক পার্কিংজোন হয়েছে তাই আলোচনা সাপেক্ষে এই পার্কিংজোন তুলে দেওয়ায় যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করার স্বার্থে এবং পৌরবাসীর স্বার্থে যা করার পৌরপরিষদ তাই করবে।

পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. মাসুম আলী বেগ জানান, সাতমাথার পার্কিং জোন যদি এখন প্রয়োজন না থাকে তবে তা তুলে দেওয়া যেতে পারে। পৌরপরিষদের সাথে আলোচনা করে সম্ভব হলে অপসারণ করে রাস্তা বড় করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS