ভিডিও

বগুড়ার সোনাতলায় সাতবেকী আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ফাটল, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৯, ২০২৪, ১০:৩২ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৯, ২০২৪, ১০:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : মাত্র চার বছর আগে ২০২০ সালে মুজিববর্ষে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের সাতবেকীতে ৬১টি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি কিছু কিছু ঘরে ফাটল ধরেছে। ফলে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক তৃতীয়াংশ লোক বসবাস করেন অন্যত্র। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাওয়ার নেই রাস্তা, সামান্য বৃষ্টিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমে থাকে পানি।

২০২০ সালে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বগুড়ার সোনাতলায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত হয় ৬১টি ঘর। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীনদের জন্য ওই এলাকায় প্রায় তিন একর জায়গাজুড়ে খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণ করতে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় দুই লাখ ৩৭ হাজার টাকা। ঘরগুলো নির্মাণের মাত্র চার বছরের মাথায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

এমনকি ঘরগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬১টি ঘরের মধ্যে ১০/১২টি ঘরে লোকজন বসবাস করলেও অন্যরা থাকেন অন্যত্র। দীর্ঘদিন যাবত ওই ঘরগুলোতে লোকজন বসবাস না করায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়াও পুরো আশ্রয় প্রকল্প ভূতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে প্রায় দেড় যুগ আগে বিএনপি জোট সরকারের শাসনামলে সাতবেকী গুচ্ছগ্রামে ১২০টি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন সেই ঘরগুলো মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় ঘরের চালের টিন ফুটো হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে ওই গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারীদের ঘরে আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণের সময় নিম্নামানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেও তা কেউ আমলে নেননি। যার ফলে নিম্নমানের কাজ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘরগুলোর তৎকালীন উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও স্থানীয় পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ যৌথভাবে নির্মাণ করে।

এ বিষয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, এখানে বসবাসকারীদের নূন্যতম কোন সুযোগ-সুবিধা নেই, নেই যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমনকি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। সন্ধ্যার পর ভূতুরে পরিবেশের তৈরি হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প জঙ্গলে পরিণত হয়েছে, সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, দ্রুত তদন্ত কমিটি করে ঘরগুলো নির্মাণে কেউ গাফিলতি বা অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ঘর সংষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS