ভিডিও

আগাম আলু চাষে ধুম পড়েছে, ‘সেভেন’ জাতে বাজিমাতের স্বপ্ন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২৪, ১২:৪০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি : শীতকালীন ফসল আলু দেশের প্রথম উত্তোলন হয় এ এলাকায়। আগাম আলুর আতুঁড়ঘর খ্যাত কিশোরগঞ্জে ৬০দিনে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হয় কৃষক। যা অন্য কোন ফসলে এত লাভের মুখ দেখতে পায় না। তাই এ ফসলকে ভাগ্য বদলের ফসলও বলা হয়। স্থানীয় বলা সেভেন জাতের আলু চাষে কৃষকরা লাভের মুখ দেখায় এ বছরও “সেভেন” জাতের আলু চাষ করে বাজিমাতের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। তাই উঁচু জমিতে সেভেন জাতের আলু চাষে ধুম পড়েছে। কৃষকরা বলছে- আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেভেন জাতে বাজিমাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হবে তারা।

আগাম আলুর আতুঁড়ঘর খ্যাত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রতিবারের মত এবারও অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের সেভেন আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে আলু রোপণ হলেও এবার অক্টোবর মাসের শুরু হতেই আলু রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়েছে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় ১শ’ ৮০ হেক্টর জমি বেশি। গতবছর আগাম আলু চাষ করে কৃষকরা বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা বেশি হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা বেশি থাকে। কৃষকরা বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হন। এছাড়া কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা স্থানীয় নাম সেভেন আগাম আলু চাষ করে থাকেন।  যা বপন থেকে ৫৫ থেকে ৬০ দিন বয়সে উত্তোলন করা যায়। ৫৫ থেকে ৬০ দিনে এ ফসলে কৃষকরা যা লাভ করেন অন্য কোন ফসলে তা আসে না। ফলে এ বছরও ফসলের মাঠে আগাম আলু চাষে ধুম পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে ভাগ্য পরিবর্তনের আগাম আলু বপনে ফসলে মাঠে কৃষকরা প্রাণচঞ্চল মুখর হয়ে উঠেছে। দেশের প্রথম আগাম আলু বপনকে ঘিরে যেন প্রাণচঞ্চল ফিরেছে মাঠ জুড়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, দেশের প্রথম আলু বপন ও উত্তোলন করে এ এলাকার কৃষকরা। এ এলাকার আলু বাজারে প্রথম আসায় কৃষকরা বেশ দাম পায়। ফলে এখানকার কৃষকদের ভাগ্য বদলের ফসলে পরিণত হয়েছে আলু। চলতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ৭৮০শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগাম আমন ধানে ভাল ফলন পেয়ে কৃষকরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গড় বাজার ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলে ৪শ’ কোটি টাকার আলু বিক্রি হবে। এ বছরও কৃষকরা ভাল দাম পেয়ে লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS