ভিডিও

শত্রুদের আমরা পরাজিত করবই: জুমার খুতবায় খামেনি

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৪, ২০২৪, ০৬:৪২ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ০৯:৫১ সকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শত্রুদের পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছেন। আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তেহরানে ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় তিনি এ কথা বলেন। এখবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরার।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে তার আদর্শ এবং তার দেখানো পথ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। তার শাহাদাত এই আন্দোলনকে আরো জোরদার করবে। নাসরুল্লাহর ক্ষতি বৃথা যাবে না। আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুপক্ষ মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ ছড়িয়ে দিতে বিভাজন ও ঘৃণার বীজ বপন করার নীতি অবলম্বন করে। একই পক্ষ আবার ফিলিস্তিনি, লেবাননি, মিশরীয় এবং ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেন ও সিরিয়ার জনগণের শত্রু। আমাদের সবার শত্রু একই।’

তিনি আরো বলেন, আগ্রাসনকারীদের হাত থেকে আত্মরক্ষার অধিকার প্রতিটি দেশেরই রয়েছে। মুসলিম দেশগুলোকে তাদের সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অভিযানকে ‘আইনত ও বৈধ’ বলে অভিহিত করেন ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা।

খামেনি জানান, ইসরায়েলকে দমনে দায়িত্ব পালনে তার দেশ বিলম্ব বা তাড়াহুড়ো করবে না। খুতবায় ফিলিস্তিনের পক্ষেও বক্তব্যতে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে। সেই অপরাধীদের রুখে দাঁড়াতে এমন কোনো একক আদালত বা আন্তর্জাতিক সংস্থা নেই যা ফিলিস্তিনি জনগণকে কেবল তাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য দোষারোপ করতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত ভূমি ও সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য ইসরায়েলকে সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেন খামেনি। তিনি বলেন, কোন সন্দেহ নেই যে ইহুদিবাদী এবং আমেরিকানরা যে স্বপ্ন দেখছে -জায়নবাদী সত্তা মাটি থেকে উপড়ে ফেলা হবে, এর কোন শিকড় নেই, এটি জাল, অস্থির এবং শুধুমাত্র আমেরিকান সমর্থনের কারণে বিদ্যমান।

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং লেবাননে মিত্র হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো তিনি এই খুতবা দিলেন।

এই উপলক্ষে তেহরানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। কারও কারও হাতে হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা দেখা যায়। কেউ বা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে আসেন। তবে সবার উদ্দেশ্য একটিই খামেনিকে এক নজর দেখা। প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম জুমার খুতবা দিলেন খামেনি।

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই খুতবা দিলেন।

প্রসঙ্গত, ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন তিনি। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন। প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এ ঘটনার পর খামেনেয়ি জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS