ভিডিও

লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডার নাসের নিহত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৭:২০ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৭:২০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর (আইএএফ) এক অভিযানে নিহত হয়েছেন সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডার নাসের আবেদ আল আজিজ রশিদ। শনিবার ভোরের দিকে দক্ষিণ লেবানেনে বিন্ত জেবেইল এলাকায় নিহত হয়েছেন নাসের।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, নাসের আবেদ আল আজিজ রশিদ ছিলেন হিজবুল্লাহর বিন্ত জেবেইল শাখার সামরিক বিভাগের একজন শীর্ষ কমান্ডার ছিলেন। পদবি ডেপুটি কমান্ডার হলেও হিজবুল্লাহর বিন্ত জেবেইল শাখার সামরিক বিভাগের মূল নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। গত এক বছরে বিন্ত জেবেইল থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বেশ কিছু হামলা চালানো হয়েছে। সেসব হামলার নেতৃত্বে ছিলেন নাসের।

শনিবার নাসের আবেদ আল আজিজ রশিদ ব্যাতীত হিজবুল্লাহর আরো কোনো কমান্ডার বা যোদ্ধা নিহত হয়েছেন কিনা, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলেনি আইডিএফ। তবে বিন্ত জেবেল এলাকায় গোষ্ঠটির কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট হিজবুল্লাহ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। লেবাননভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক। তবে আইডিএফের দাবি, এই নিহতদের মধ্যে ৯৪০ জন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ও যোদ্ধা রয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।

বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে। তবে কতদিন এ অভিযান চলবে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা ইঙ্গিত এখনও দেয়নি আইডিএফ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS