আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আশির দশকে ধর্ষণের বদলা নিতে ২০ জনকে হত্যা করেছিলেন ‘দস্যুরানী’ ফুলন দেবী এবং তার দলের সদস্যরা। সেই হত্যাকান্ডের ৪৩ বছর পর সাজা ঘোষণা করল ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরের একটি আদালত।
ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বর্তমানে দুজন বেঁচে আছেন। তার মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন কানপুরের আদালত। এছাড়া, প্রমাণের অভাবে অন্যজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক। ১৯৮১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফুলন দেবী এবং তাঁর দল ধর্ষণ ও অন্যান্য অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে কানপুরের রাজপুর থানা এলাকায় অবস্থিত বেহমাই গ্রামে ২০ জনকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন উচ্চবর্ণের ঠাকুর সমাজের মানুষ ছিলেন। ঠাকুর সমাজ ও উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিরা কোনো কারণ ছাড়াই ফুলন দেবীকে একটি ঘরে আটকে রেখে টানা কয়েক দিন ধর্ষণ করেন। এর প্রতিশোধ নিতেই ফুলন দেবী ডাকাত দলে যুক্ত হয়ে ২০ জনকে হত্যা করেন। সেই ঘটনায় গোটা ভারতে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।