ভিডিও

অনলাইনে সন্তানের ছবি শেয়ার করে ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৫:৪২ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৮:২৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো শেয়ার করা একেবারেই স্বাভাবিক। এর মধ্যে সন্তানদের ছবিও শেয়ার করার প্রবণতা দেখা যায়। তবে মা-বাবারা যখন তাদের সন্তানের ছবি, ভিডিও বা দৈনন্দিন ঘটনাবলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন, তখন তারা অজান্তেই অনেকগুলো ঝুঁকি ডেকে আনছেন। অনলাইনে শিশুদের ছবি শেয়ার করার বিষয়টি নিরীহ মনে হলেও, এর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।


ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন

অনলাইনে শিশুর ছবি শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়। বড় হলে শিশুরা তাদের এই ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ায় অসন্তুষ্ট বা বিব্রত হতে পারে। শিশুদের অনুমতি ছাড়াই তাদের ব্যক্তিগত জীবন জনসমক্ষে আনা হয়, যা পরবর্তীতে মানসিক চাপের কারণ হতে পারে।

সাইবার অপরাধের ঝুঁকি

অনলাইনে শেয়ার করা ছবি বা ভিডিও সাইবার অপরাধীদের হাতে পড়লে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।

অনেক সময় অপরাধীরা শিশুদের ছবি ব্যবহার করে ফেক প্রফাইল তৈরি করে বা ছবিগুলো বিকৃত করে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া এসব ছবি শিশু পাচারকারী বা অন্য অপরাধীদের জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠতে পারে।

ডিজিটাল পদচিহ্ন
শিশুর ছবি অনলাইনে শেয়ার করা হলে, সেটি তাদের একটি স্থায়ী ডিজিটাল পদচিহ্ন তৈরি করে। বড় হয়ে তারা হয়তো তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল হতে পারে, কিন্তু একবার অনলাইনে শেয়ার করা কোনো ছবি বা তথ্য মুছে ফেলা কঠিন।


ভবিষ্যতে তাদের চাকরি বা শিক্ষার ক্ষেত্রে এসব তথ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অনাকাঙ্ক্ষিত মনোযোগ

শিশুর ছবি অনলাইনে শেয়ার করলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির মনোযোগ আকৃষ্ট হতে পারে। এর ফলে শিশুর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বিশেষ করে যদি ছবিতে শিশুর অবস্থান, স্কুল, বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশিত হয়, তবে তা অপরিচিত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠতে পারে।

সম্মতি ছাড়া তথ্য প্রকাশ

শিশুরা ছোট থাকার কারণে তাদের সম্মতি ছাড়াই মা-বাবারা তাদের ছবি শেয়ার করে থাকেন।


বড় হয়ে শিশুরা নিজেদের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতি পেতে পারে। এটি পারিবারিক সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ তারা তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো শেয়ার করা নিয়ে আপত্তি জানাতে পারে।

শিশুর মানসিক বিকাশে প্রভাব

অতিরিক্তভাবে অনলাইনে সন্তানের ছবি শেয়ার করা তাদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। সন্তানেরা অনেক সময় নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়া নিয়ে অস্বস্তি বোধ করতে পারে, যা তাদের আত্মবিশ্বাস কমাতে পারে। তাদের জীবনের ব্যক্তিগত অংশগুলো জনসমক্ষে চলে আসায় তারা চাপ অনুভব করতে পারে।

ভবিষ্যতের ঝুঁকি

অনলাইনে আজকের শেয়ার করা কোনো ছবি বা ভিডিও ভবিষ্যতে শিশুর জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। বর্তমানে এটি নিরীহ বলে মনে হলেও, ভবিষ্যতে তাদের সামাজিক মর্যাদা, পেশাগত জীবন বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় অনলাইনে শেয়ার করা ছবি বা ভিডিও ভবিষ্যতে ঠাট্টা বা বিদ্রুপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS