বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দুই সতীন পিঠা বিক্রি করে সংসারে এনেছেন স্বচ্ছলতা
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পৌষের কনকনে শীতে দুই সতীনে পিঠা বিক্রি করে তাদের সংসারের অভাব দূর করে এনেছেন স্বচ্ছলতা।
উপজেলা সদরের সরদারপাড়ার দরিদ্র আব্দুর রহিমের দুই স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৪) ও মর্জিয়া বেগম (৩৫)। আব্দুর রহিমের পৈত্রিক জমাজমি বলতে বসতবাড়ির দেড় শতক জায়গায় তিনটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। দুই স্ত্রী ও চার সন্তানের জনক আব্দুর রহিম ধানভাঙা মিলে কাজ করেন। সংসারের অভাব মোচনে তার দুই স্ত্রী সেলিনা ও মর্জিয়া অগ্রহায়ণ মাস থেকে পিঠা তৈরির ব্যবসা শুরু করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের গেটের এক পাশে তিন থেকে চার কেজি চালের আটার ভাপা, কুশলি, পিঠা তৈরি করে তা বিক্রি করেন। শীতের এই মৌসুমে নারিকেল ও খেজুরের গুর মিশ্রিত এই ভাপা পিঠা খেতে বেশ সুস্বাদু।
আরও পড়ুনআজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সেলিনা বেগম ও মর্জিয়া বেগম জানান, অভাব-অনটনের সংসারে তারা দুই সতিন মিলে সংসারে কিছুটা স্বচ্ছলতা আনতেই এই ধোঁয়া উড়ানো ভাপা পিঠাসহ কুশলি পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত এই পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিটি পিঠার দাম ১০ টাকা। প্রতিদিন তারা ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে খরচ বাদ দিয়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা আয় হয়। এভাবেই পিঠা বিক্রি করে সংসারে কিছুটা স্বচ্ছলতা এনেছেন তারা।
মন্তব্য করুন