ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

রাত নামলেই সরব হয়ে ওঠে সব বালুমহাল প্রতিদিন বিক্রি কোটি টাকার বালু

রাত নামলেই সরব হয়ে ওঠে সব বালুমহাল প্রতিদিন বিক্রি কোটি টাকার বালু

পাবনা প্রতিনিধি : দিনের বেলায় খুব একটা দেখা না গেলেও, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেই জেগে ওঠে পাবনার সব অবৈধ বালুমহালগুলো। তারপর সারারাত ধরে চলে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। যত্রতত্রভাবে বালু তোলার কারণে প্রতি বছর নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।

বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বরং উল্টো প্রশাসনের বিরুদ্ধেই বালু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে ও এলকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা নদীর পাবনার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ভবানীপুর, দোগাছী ইউনিয়নের চর বলরামপুর, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের দড়ি ভাউডাঙ্গি, চরতারাপুর ইউনিয়নের দিঘী গোয়াইলবাড়ি, শুকচর, সুজানগর উপজেলার চর ভবানীপুর, বরখাপুর, উদয়পুর, হাটমালিফা, নাজিরগঞ্জ, সাগরকান্দি, বেড়া উপজেলার ঢালারচর, নগরবাড়ি, চাকলা, ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, লক্ষীকুন্ডা এলাকাসহ জেলার অন্তত ২০টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। বালুবাহী ট্রাকগুলো জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের সামনে দিয়েই বাধাহীনভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও শুরু হয়েছে। কৌশল পাল্টিয়ে এখন দিনের বদলে রাতে তোলা হচ্ছে বালু।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, প্রতিদিন একেকটি পয়েন্টে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বালু বিক্রি হয়। সবমিলিয়ে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার বালু বিক্রি হয়। বালু বিক্রির টাকার একটি অংশ চলে যায় বিভিন্ন মহলের পকেটে। ফলে মাঝে মধ্যে জেলা বা উপজেলা প্রশাসন দু’একটি লোক দেখানো অভিযান চালালেও বেশিরভাগই থাকে নজরের বাইরে।

আরও পড়ুন

ভুক্তভোগী চরভবানীপুর এলাকার কৃষক সাঈদ প্রামাণিক, এস্কেন্দার হোসেন, চর বলরামপুর গ্রামের শাহজাহান মল্লিক, কেরামত আলীসহ নদীপাড়ের অন্তত দশজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘আগে নদী শুকিয়ে গেলে সেখানে বাদামসহ আমরা ফসল আবাদ করতাম, কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পারছি না। নদী শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বালু উত্তোলন শুরু হয়। ফসলি জমি নষ্টের পাশাপাশি রাস্তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছি আমরা। কিছু বলতে গেলেই দেওয়া হয় হুমকি। আমরা প্রশাসনকে বললে তারাও কোনো পদক্ষেপ নেয় না।

এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আপনার মাধ্যমেই জানলাম। এছাড়া দুই-একটা মাধ্যমেও শুনেছি যে রাতে বালু তোলা হচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছি। তারা ইতোমধ্যে কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩২ বছর পর মধ্যরাতে জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশের প্রস্তুতি চূড়ান্ত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদক’র অভিযান

পাবনার বেড়ায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে উন্নত পদ্ধতির ঘর

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর অভিযানে ৫৮৭ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডর এসএসসি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৫ জনকে বহিষ্কার