রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রতিরোধে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ কোষ্ঠকাঠিন্য শব্দটির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। রোজা রেখে অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানির অভাব এবং অত্যধিক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হতে পারে।
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজার মাসে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে করণীয় সম্পর্কে।
“ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস” এর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রায় ২২-৩৪ গ্রাম ফাইবার বা আঁশের প্রয়োজন হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত সময়ে এই ফাইবারটুকু প্রদান করতে হবে শরীরকে।
খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকা এবং পানি কম খাওয়ার কারণে অনেকেরই এই সমস্যা দেখা দেয় রোজার সময়। এই সমস্যা প্রতিরোধে ইফতারে বেশি করে তাজা ফল রাখতে হবে। রাতে ও সাহরিতে শাকসবজি, সহজপাচ্য খাবার থাকতে হবে। এছাড়া ইসবগুলের ভুষি, লাল আটা ও ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত খেতে পারলে শরীরের জন্য আরও ভালো।
আরও পড়ুনএছাড়াও এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শরীরকে রিহাইড্রেট করার জন্য ইফতারের পর থেকে সাহরি পর্যন্ত পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে। হাইড্রেটেড থাকতে উচ্চ পানিযুক্ত খাবার যেমন- স্যুপ, শাকসবজি, ফল, শসা, লেটুস, টমেটো এবং তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। সাহরিতে হাইড্রেটিং ফলের পাশাপাশি বাদাম, বীজ, দই, চিয়া বীজ এবং ফাইবার বাড়ানোর জন্য ফ্ল্যাক্সসিডের স্মুদি খাওয়া যেতে পারে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমবে।
ইফতারে শুরুতেই পেট ভরে না খাওয়ায় ভালো। এসময় শরবত বা জুস ও খেজুর খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া ভালো। ইফতারের সময় দ্রুত ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
মন্তব্য করুন