বগুড়া বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের গার্ড বদলিকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গার্ড মাসুদ রানার বদলিকে কেন্দ্র করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। গার্ড মাসুদ রানাকে নরসিংদী বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে। আর এর প্রতিবাদে সকল শিক্ষক ও কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
জানা গেছে, মাসুদ রানা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে ঈদের পর নয়দিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন। পরে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাকে অনুপস্থিতির জন্য একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
মাসুদ রানা কারণ দর্শানোর নোটিশের উত্তর দিলে সেটি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না হওয়ায় অধ্যক্ষ নোটিশের উত্তরসহ ঢাকায় বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল বিয়াম ফাউন্ডেশন ঢাকার পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আরীফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে নরসিংদিতে বদলি করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) মাসুদ রানা চিঠিটি পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকদের জানালে তারা মাসুদ রানাকে বদলি না করতে অধ্যক্ষকে চাপ দেন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের আল্টিমেটাম দেন। এই বিষয়ে আন্দোলনরত এক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, গার্ড মাসুদ রানার অপরাধের জন্য বদলি না করে তার বেতন কাটা যেত। তাকে বদলি করাটা ঠিক হয়নি, বগুড়া বিয়াম স্কুলের ইতিহাসে এটিই প্রথম বদলি এবং তার বদলির আদেশ বাতিল করে তাকে বগুড়ার কর্মস্থলে বহালের দাবি জানান।
আরও পড়ুনওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং স্বেচ্ছাচারিতার অপরাধে প্রাপ্ত সাজার জন্য যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জনের হুমকি দেবেন এটা খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, মাসুদ রানা শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। এর আগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাকে আরও ৪ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো এবং একবার সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিলো।
প্রতিবারই সে হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়ে আবারও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। একজন স্টাফ একই অপরাধ বার বার করলে তখন আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো কী আমার অপরাধ? তাকে কর্তৃপক্ষ বদলি করেছেন। যে কেউ অপরাধ করলে বদলিজনিত শাস্তি তার হতেই পারে।
মন্তব্য করুন