জবির ‘যৌক্তিক’ দাবি মেনে নিতে গড়িমসি কেন, প্রশ্ন সারজিসের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিলে উত্তাল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখী কাকরাইল মসজিদ মোড়। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ‘যৌক্তিক’ দাবিগুলো মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন এনসিপির এই নেতা।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন? তাদেরকে আবার রাস্তায় নামতে হলো কেন? বছরের পর বছর ধরে পুরো দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাষ করা হয়েছে। অথচ ঢাকার বুকে দেশের প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন আবাসিক হল নেই। মেয়েদের জন্য নামমাত্র একটি আবাসিক হল আছে। একাডেমিক স্পেসও চাহিদার তুলনায় নেই বললেই চলে। অথচ যেই সদরঘাট এলাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত সেটি ঢাকার বসবাসের সবচেয়ে অনুপযোগী একটি জায়গা। সেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কিভাবে থাকবে কিংবা থাকে এগুলো নিয়ে কি কারো মাথাব্যথা নাই?
বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের অনেক জায়গা এবং ভবন এতদিন ধরে দখল করেছিল আওয়ামী লীগের দখলদাররা। কিন্তু এখনো কেন তারা তাদের জায়গা কিংবা ভবনগুলো ফিরে পাচ্ছে না? কেন তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে দ্রুতগতির সাথে করা হচ্ছে না? কেন একনেকে এখনো সেই বিল পাস হচ্ছে না?
শিক্ষার্থীরা তো বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিল। তাদের জন্য আলাদা করে কি হলো? কোন সংস্কারটা করা হলো? কোন সুযোগ সুবিধাটা বাড়লো?
আরও পড়ুনজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবি গুলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হোক। নামকাওয়াস্তে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপে প্রতীয়মান হোক।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা-
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থ-বছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থ-বছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
মন্তব্য করুন