বগুড়া পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের ভুলের কারণে শহরের সাতমাথা জলবন্দি

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় অপরিকল্পিত ভাবে গাড়ি পার্কিং পয়েন্ট নির্মাণ করায় ১০ মিনিটের বৃষ্টিতেই দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীদের। বগুড়া জিলা স্কুলের দক্ষিণ সীমানা প্রাচীর ঘেষে গাড়ি পার্কিং পয়েন্ট প্রথমে করা হয়েছিলো ১২ থেকে ১৫ বছর আগে।
সে সময় শহরের কোন গাড়ি পার্কিং পয়েন্ট না থাকায় সেই পার্কিং পয়েন্টটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং সাধারণ মানুষ তা ব্যবহার করতে থাকে। গত কয়েক বছরে বগুড়া শহরের সাতমাথার আশে পাশে তিন থেকে চারটি পাকিং পয়েন্ট হয়েছে।
বিশেষ করে রানার প্লাজা, পুলিশ প্লাজা, বগুড়া প্রেসক্লাবের পার্কিং জোন ইত্যাদি। এত গুলো পার্কিং পয়েন্ট থাকার পরও বগুড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না ভেবেই অপরিকল্পিত ভাবে গাড়ির পার্কিং পয়েন্ট নির্মাণ করে। আগে যে পার্কিং পয়েন্ট করা হয়েছিলো তার নিচ দিয়ে পানি যাওয়ার মত স্লোব ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তা ভেঙ্গে নতুন করে যে পার্কিং পয়েন্ট করা হয়েছে তা থেকে পানি নিষ্কাশনের কোন জায়গা রাখা হয়নি। ফলে ১০ মিনিটের বৃষ্টিতেই রাস্তায় দিনের পর দিন পানি জমে থাকছে।
আরও পড়ুনবগুড়া উপ শহরের বাসিন্দা প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী জানান, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের অপরিণামদর্শিতার ফল ভোগ করতে হচ্ছে বগুড়াবাসীদের। যে স্থানে পানি জমে আছে ওই স্থান থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রাখাটা বোকামী। এর ফলে পানি জমে রাস্তার পাথর উঠে যাবে ওই স্থানে গর্তের সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন এটি অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।
অপরিকল্পিতভাবে এই কাজ করার জন্য প্রকৌশলীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা দরকার। বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান আলম জানান, ওই জায়গা আরও উচু করা হবে। আর পানি যাতে না জমে সে জন্য শেরপুর রোডের ড্রেনের সংযোগ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন