মা’কে নিয়ে অমিত হাসানের স্বপ্ন
_original_1748446168.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ নতুন মুখের সন্ধানে ১৯৮৬’তে অংশগ্রহনের মধ্যদিয়ে চিত্রনায়ক অমিত হাসানের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত হলেও ১৯৯০ সালে সিনেমায় তার অভিষেক হয় ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। তার আগে তিনি টাঙ্গাইলের ‘মফস্বল থিয়েটার’র (প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদ কামাল) হয়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘দেবদাস’।
অমিত হাসান নিজেও নাটক রচনা ও নির্দেশনা দিতেন। টাঙ্গাইলের ‘উদীচী’র নাট্য সম্পাদক ছিলেন অমিত হাসান। স্কুল জীবন থেকে নায়ক হওয়া পর্যন্ত অমিত মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘জ্যোতি’,‘ হিংসা’,‘ ভালোবাসার ঘর’,‘ শেষ ঠিকানা’,‘ তুমি শুধু তুমি’,‘ উজান ভাটি’,‘ ভুলোনা আমায়’,‘ বস টু’, ‘ ভালোবাসার রং’,‘ রক্ত’, ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’ ইত্যাদি।
অমিত হাসান ২০১৫-২০১৬ সময়কালে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালে তিনি ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অমিত হাসানের বাবা খন্দকার সাইদুর রহমান, মা মালিহা রহমান। ছয় ভাই বোনের মধ্যে অমিত হাসানই বড়। তার অন্যান্য ভাই বোন হচ্ছেন লিপু, কুমু, দীপু, ইমু, বাবু। ১৯৮২ সালে টাঙ্গাইলে বিন্দুবাসিনী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮৪ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের ব্রাম্মণ শাসন মহাবিদ্যালয় থেকে বিএ সম্পন্ন করেন। ১৯৯৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি লাবনীকে বিয়ে করেন। অমিত লাবনীর দুই কন্যা লামিসা ও নামিরা। অমিত হাসানের প্রযোজনায় দুটি সিনেমা নির্মিত হয়েছে। একটি ‘বিনি সুতার মালা’ ও অন্যটি ‘কে আপন কে পর’। খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে ‘রক্ত’ সিনেমার জন্য তিনি ‘বাচসাস’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে কায়সার আহমেদের পরিচালনায় নির্মিত ‘গ্রাম গঞ্জের মেয়ে’ নাটকটি তার অভিনীত আলোচিত একটি নাটক। অমিত হাসানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। কয়েকমাস আগে অমিত হাসান দেশে এসেছেন শুধুমাত্র তার মায়ের কারণেই। তার মা মালিহা রহমানকে দেখতেই মূলত আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা।
আরও পড়ুনঅমিত হাসান বলেন,‘ সত্যি বলতে কী মা যতোদিন বেঁচে আছেন আমেরিকাতে যতো ব্যস্তই থাকি না কেন সময় করেই মাকে দেখতে আসবো। তবে আমাকে বা আমার ভাই বোনকে নিয়ে মায়ের কোনো স্বপ্ন অপূরণ নয়। মা বিশেষত আমাকে নিয়ে ভীষণ গর্ব করেন যে তিনি অমিত হাসানের মা। তবে বাবা মারা যাবার পর মা অনেকটাই অসুস্থ হয়ে গেছেন। কোনো কিছুই মনে রাখতে পারেন না। এটা জানি একদিন সবাইকে এই পৃথিধবীর মায়া কাটিয়ে চলে যেতে হবে। তবে আমার স্বপ্ন একটাই-আমার মা যতোদিন বেঁচে থাকেন ততোদিন যেন সুস্থ থাকেন।’
অমিত হাসান জানান জুন মাসের শেষে তিনি আমেরিকা যাবেন। উল্লেখ্য, গত ১০ মে অমিত হাসানের মা ‘মা পদক ২০২৫’এ ভূষিত হন।
মন্তব্য করুন