ভিডিও মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

‘স্বপ্নকুঁড়ি’ সম্মানায় ভূষিত বিশিষ্ট তবলা শিল্পী পল্লব স্যান্যাল

পল্লব স্যান্যাল

অভি মঈনুদ্দীন ঃ গত ৩১ মে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র’তে ‘স্বপ্নকুঁড়ি’ সংগঠনটি সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও স্মৃতিচারণ নিয়ে গৌরবের ৩৮ বছর উদযাপন করে। ‘স্বপ্নকুঁড়ি’র সভাপতি হাসান মাহমুদ জানান এবারের আয়োজনে বাংলাদেশের প্রখ্যাত তবলা শিল্পী পল্লব স্যান্যালকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ‘স্বপ্নকুঁড়ি’ থেকে এই সম্মাননা পেয়ে ভীষণ গর্বিত ও আনন্দিত পল্লব স্যান্যাল।

পল্লব স্যান্যাল বলেন,‘ যে কোনো প্রাপ্তি তো অনেক আনন্দের। স্বীকৃতিপ্রাপ্তি কিংবা সম্মাননা প্রাপ্তি সেটা তো আরো আনন্দের। আর এই স্বপ্নকুঁড়ি ৩৮ বছর ধরে এই ট্রেডিশনটা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তারা প্রতিবছর কোনো না কোনো শিল্পী বা ম্যাজিসিয়ানকে ওরা সম্মাননা প্রদান করে। এর জন্য তাদেরকেও আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা এই কাজটা অব্যাহত রাখছে বহু বছর ধরে কষ্ট করে হলেও এবং এদের তাদের এই প্রথাটা যেন সবসময় সচল থাকে এ ব্যাপারে তাদের সভাপতি হাসান মাহমুদ ভাইকে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি। ধন্যবাদ হাসান মাহমুদ ভাইকে আমাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করায়। আমি নতুন করে আরো অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আগামীতে আমার পেশাগত কাজে আরো দায়িত্বশীল থাকবো, যা বরাবরই আমি থাকি।’

আরও পড়ুন

দেশের কিংবদন্তী শিল্পী থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে এক আস্থার নাম পল্লব স্যান্যাল। একজন তবলা শিল্পী হিসেবে পেশাগতভাবে গানের ভুবনে তার যাত্রা শুরু আজ থেকে প্রায় তিন যুগ আগে। পাবনার সন্তান পল্লব স্যান্যালের বাবা শৈলেস চন্দ্র স্যান্যাল ছিলেন মিউজিক কলেজে। বাবার কাছেই তবলায় হাতেখড়ি পল্লবের। ১৯৮৫ সালে বাবা মারা গেলে ১৯৮৯ সালে ঢাকায় এসে তার বাবারই বন্ধু ওস্তাদ কামরুজ্জামান মনির কাছে বেশ কিছুদিন তবলায় তালিম নেন। সেই সময় তিনি জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসে কিছুদিন চাকুরীও করেন। পেশাগতভাবে ঢাকার মঞ্চে তিনি প্রথম শিল্পী শাহীন সামাদের সঙ্গে প্রথম তবলা বাজান। পরবর্তীতে ফেরদৌসী রহমান, সুবীর নন্দী, ফাতেমা তুজ জোহরা থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের প্রায় সকল শিল্পীর সঙ্গেই গানে তবলা বাজিয়েছেন। মূলত শিল্পীরা তার উপর আস্থা রাখার কারণ একটাই। তা হলো পল্লব স্যান্যালই দেশের একমাত্র ভার্সেটাইল তবলা শিল্পী যিনি একাধারে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, পঞ্চকবির গান, লালনগীতি, ফোক গান, আধুনিক গান, সিনেমার গান এবং সর্বোপরি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তবলা বাজানোতে দারুণ পারদর্শী। পল্লব স্যান্যাল মনে করেন মিউজিসিয়ান মানেই হলো তাকে ভার্সেটাইল হতে হবে। ভাষা বা বাণী প্রধান গানকে না জেনে না বুঝে তবলা বাজিয়ে গানকে ডিস্টার্ব করা যাবেনা। পল্লব মনে করেন তবলা সম্পর্কে অনেক জেনে শুনে বুঝে তবেই একজন তবলা শিল্পী হতে হবে। পল্লব স্যান্যালের সুর করা গান আছে ২০০টি। যা বিভিন্ন শিল্পী গেয়েছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলি হামলায় অবরুদ্ধ গাজায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অভিনেত্রী তানিন সুবহা

দেশে ফিরলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা

টাঙ্গাইল বাইপাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

সাবেক আ.লীগ সংসদ সদস্যের কারখানায় কুকি-চিনের পোশাক তৈরি, আটক ৪

ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ