ঈদের পরেই মধুপুরে দর্শক মাতালেন ঐশী

অভি মঈনুদ্দীন ঃ ঈদের আগেই প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য গিয়েছিলেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী। সেখানে দুটি ভিন্ন তারিখে ভিন্ন দুটি স্টেজ শো’তে প্রবাসী বাংলাদেশীদের গানে গানে মুগ্ধতা ছড়িয়ে এসেছেন ঐশী। দেশে ফিরেন গত ৪ জুন। দেশে ফিরে আবারো যথারীতি তিনি তার পেশাগত কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেন।
ঈদের পর গত ৯ জুন বাংলাদেশের আনারসের শহর হিসেবে খ্যাত টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘মধুপুর শহীদ স্মৃতি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন’ (মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন) -এর নতুন কমিটি (১১১ জন সদস্য) অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবীর আহমেদ হীরা ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ জানান, অভিষেক অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে শুরুতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শহীদ স্মৃতির সাবেক শিক্ষার্থী শাহনাজ সাথী। এরপর মঞ্চে উঠেন একই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এসকে সাগর শান ও তার ব্যাণ্ড দল পাঞ্জেরী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। রাত প্রায় ১০.৩০ মিনিটে ঐশী ‘দিল কী দয়া হয়না’ গানটি পরিবেশন করতে করতে মঞ্চে উঠেন। আর তখন পুরো বিদ্যালয় মাঠের সকল দর্শকের মধ্যে ভীষণ উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঐশী টানা তার এক ঘন্টার সঙ্গীত পরিবেশনকালীন সময়ে একে একে ‘বন্ধু বীণে’, নিজাম উদ্দিন আউলিয়া’,‘কৃষ্ণ আইলো রাধার কুঞ্জে’,‘ নেশা লাগিলোরে’, ‘ও কী গাড়িয়াল ভাই’,‘ মধুপুরের পোলা নোয়খাইল্যা মাইয়া’,‘ এক আকাশের তারা তুই’,‘ চুমকি’,‘ ওরে সালেকা’ এবং সর্বশেষ তার নিজের জনপ্রিয় সুপারহিট গান ‘দুষ্টু পোলাপাইন’ গানটি গেয়ে শ্রোতা দর্শককে ভীষণ মুগ্ধ করেন ঐশী। ঐশীর একের পর এক গানে দর্শক যেন পুরোটা সময় ছিলো ভীষণ আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। শহীদ স্মৃতি অ্যালমনাইয়ের নতুন কমিটিও তার এই পারফর্ম্যান্সে ভীষণ খুশী।
আরও পড়ুনঐশী বলেন,‘ এর আগে আরো একবার মধুপুরে এসেছিলাম। কিন্তু এক দুটো গান গাওয়ার পর বৃষ্টি চলে আসায় আর পারফর্ম্যান্স করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু এবার তেমন কিছু হয়নি। শহীদ স্মৃতি অ্যালমনাইয়ের হীরা ভাই, শাকিল ভাই’সহ আরো যারা আছেন তাদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি আমি। আর আমিও চেষ্টা করেছি এবার গানে গানে সবার মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াতে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে সবাই যে আমার গান ভীষণ উপভোগ করেছেন তা তাদের রেসপন্স দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি। সাউণ্ড সিস্টেমটা আরেকটু ভালো হতে পারতো। কিন্তু তারপরেও শিল্পী হিসেবে আমার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে নিজের সেরা পারফর্ম্যান্সই দেবার চেষ্টা করেছি। মধুপুর বাসীর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা। আবার দেখা হবে।’
শো শেষে ঐশী, তার টিম’সহ মধুপুরেরই আসিফের রেস্টুরেন্ট ‘আড্ডা বৈঠক’- এ রাতের খাবার খাওয়া শেষে ঢাকা ফিরেন। কবীর আহমেদ হীরা বলেন,‘ ঐশীর প্রতি তার আম্মার প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। ঐশীর পারফর্ম্যান্সে আমরা সবাই ভীষণ খুশী।’
মন্তব্য করুন