দেড় কোটি টাকার সেতুর সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : দুইপাশে বসতবাড়ি মাঝখানে দেড় কোটি টাকার সেতু। নির্মাণ হয়নি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক। ১১ বছরেও সেতুর সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী। সেতুটি ব্যবহার হচ্ছে এখন এলাকার কৃষকদের ধান শুকানোর কাজে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার কুড়ারপাড় বিলের ওপর ২০১৪ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), লালমনিরহাট।
সেতুটির উভয়পাশে রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। সেতুর মুখেই রয়েছে ঘরবাড়ি। সরকারি জমি না থাকার পরও সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে সেতুতে ওঠার জন্য উভয়পাশে গ্রামবাসী নিজেরাই সরু একটি রাস্তা তৈরি করেন। তবে ওই রাস্তা দিয়ে শুধু হেঁটে সেতু পার হতে পারলেও কোনো যানবাহন এমনকি মোটরসাইকেল, রিকশাভ্যানও পার হতে পারে না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রামবাসী। ফলে সেতুটি তাদের জন্য সুফলের পরিবর্তে কুফল বয়ে এনেছে। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটা। ২০১৪ সাল থেকে ১১ বছর ধরে সেতুর সুফল বঞ্চিত গ্রামবাসী।
আরও পড়ুনগ্রামের বাসিন্দা নবিকুল ইসলাম জানান, এ গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তাকে ধরাধরি করে সেতু পার করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিংবা রিকশাভ্যানে হাসপাতালে নিতে হয়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল সেতু পার করতে পড়েন মহাবিড়ম্বনায়।
একই গ্রামের নায়েক আলী জানান, সেতু নির্মাণে গ্রামবাসী খুশি হলেও সেতুতে ওঠার জন্য দুইপাশের সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় এটি গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে সেতুর দুইপাশে দ্রুত সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে লালমনিরহাট এলজিইডি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম এ প্রতিনিধিকে জানান, সেতুতে ওঠার জন্য উভয়পাশের রাস্তা সরু ও কাঁচা হওয়ায় যানবাহন পারাপার করতে পারছে না সুফলভোগীরা। সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেট এলে দ্রুতই কাজটি শুরু হবে।
মন্তব্য করুন