গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে উপজেলা সদরের অর্ধশত পরিবার পানিবন্দি

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : তিস্তা-করতোয়া কিংবা মেঘনা-যমুনা নদী পাড়ের মানুষ নয়, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের ও পৌর শহরের একাংশের বৃষ্টির পানি নেমে এসে উপজেলা পরিষদের পূর্ব-উত্তর অংশে গত ২০ দিন হলো পানিবন্দি হয়ে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার।
পলাশবাড়ী পৌর শহরের জামালপুর গ্রামে অবস্থিত উপজেলা পরিষদ ও অফিসার কোয়ার্টারের এরিয়ার এবং পৌর শহরের একাংশের বৃষ্টির পানি নেমে আসে উপজেলা পরিষদের পূর্ব-উত্তর অংশে উদয়ন স্কুলের সামনের পুকুরে।
এরপর স্কুলের মাঠের ওপরে দিকে উঠে পিছনের দিকে গিয়ে পানিগুলো দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয়দের ব্যাপকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে বন্যার দুর্ভোগে ফেলে। এই পানিগুলো এখানে এসে বন্দি হয়ে থাকে এসকল পানি নি:স্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বছর বছর দুর্ভোগের চিত্র আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার শিকার হয় উপজেলা পরিষদের পূর্ব অংশের অর্ধশত পরিবার।
আরও পড়ুনএবিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধানে বার বার সহযোগিতা কামনা করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় ব্যাপক হতাশায় ভুগছে পরিবারগুলো। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিত গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি নেমে দেওয়ার চেষ্টায় পলাশবাড়ী পৌরসভা কর্তৃক দু’টি পৃথক স্থানে প্রায় ৩শ’ ফুট পাইপ বসিয়েছে এরপরে পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন পরিবারগুলো।
এ দুর্ভোগ রোধে আবারও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম ও পৌর প্রশাসক আল ইয়াসা রহমান তপাদার। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন হলো এ পরিবারগুলো জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহালেও বিগত সময়ের এ উপজেলা ও পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এ দুর্ভোগ বছরের পর বছর চলে আসছে। সারাদেশে বন্যার দেখা না মিললে এই সময়ে উপজেলা পরিষদের এ অংশে দেখা মিলে বন্যার চিরচেনা দুর্ভোগে চিত্র।
মন্তব্য করুন