ডাকসু নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতাঃ আব্দুল কাদের

ঢাবি প্রতিনিধি : আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের।
বুধবার (২৭ আগস্ট) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি ঘোষণা করেছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে কেউ তা মানছে না। কমিশন সব দেখছে, তারপরও একদলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সব প্যানেল আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, “ক্যাম্পাসে একটা গোষ্ঠী ৯০-এর ডাকসু নির্বাচনের পর গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি চালু করেছিল।
এবার ২০২৫ সালের ডাকসুর পর আবারও সেই দিনগুলো ফিরে আসবে কিনা, শিক্ষার্থীরা তা নিয়ে শঙ্কিত।” আব্দুল কাদের জানান, ৫ আগস্টের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি ও ভয় দেখা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, “একটা ছেলে-মেয়ে পাশাপাশি বসলে তাদের মোরাল পুলিশিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। চারুকলায় প্রচারণায় গেলে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। সেখানকার শিক্ষার্থীরাও নিজেদের শঙ্কার কথা আমাদের জানিয়েছে।”
আরও পড়ুনক্যাম্পাসে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে সেনাবাহিনীর দরকার নেই। এটা হবে মশা মারতে কামান ব্যবহার করার মতো,” মন্তব্য করেন আব্দুল কাদের। এদিকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদারও কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আচরণবিধি ভেঙেছে। তবুও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন ক্যাম্পাসে ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় তিনটার মধ্যে সব সরানোর নির্দেশ দিলেও অনেকেই সরায়নি। যারা নিয়ম ভাঙছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। তাহলে এ কমিশন আসলেই কি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে?”
এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ডাকসু নির্বাচনের আগের দিন (৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্তব্য করুন