ভিডিও রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কাজে আসছে না ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ

কাজে আসছে না ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ। ছবি : দৈনিক করতোয়া

সিরাজগঞ্জ ও বেলকুচি প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় সোয়া ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ব্রিজটি বর্তমানে নির্মাণ কার বন্ধ থাকায় ৯-১০টি গ্রামের মানুষ পড়েছে বিপাকে। ব্রিজটিকে ঘিরে নদী বিধৌত প্রান্তিক মানুষগুলো তাদের দীর্ঘদিনের নানা অসুবিধা দূর হবে বলে আশা করেছিলো। উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা নেয়া,  শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতসহ চিকিৎসার জন্য হাসপাতলে যেতে আর কষ্ট হবে না এমন হাজারও স্বপ্ন বুনতে থাকে তারা।

কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের চার বছরেও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপলাভ করেনি। ফলে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। এলাকাবাসী জানান, যমুনার এই ক্যানেলটি পার হয়ে প্রতিদিন বেলকুচি সদর ইউনিয়নের মধ্য দেলুয়া, দেলুয়া, রতনকান্দি, চর দেলুয়া, সোহাগপুর, বড়ধুলসহ অন্তত ৯-১০ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজরেরও বেশি মানুষ চলাচল করে।

বর্ষাকালে নৌকা আর পানি কমলে বাঁশের সাঁকো এবং শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলতে হতো। অসুস্থ রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নানা বিড়ম্বনার মধ্যদিয়ে যাতায়াত করত। এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনে বাড়তি সময় ও টাকা অপচয় হতো। চার বছর আগে এখানে ব্রিজটি নির্মাণের নতুন স্বপ্ন দেখে প্রান্তিক এসব মানুষগুলো। কিন্তু চার বছরেও ব্রিজের উভয়পাশে রাস্তা না হওয়ায় এলাকার মানুষের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণ চরম ক্ষুব্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দা তাঁত শ্রমিক হাফিজুল ইসলাম ও মহিলা তাঁত শ্রমিক আয়েশা বলেন, এই জায়াগায় ব্রিজ ছিল না। যখন ব্রিজের কাজ শুরু হলো মানুষ খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু দেড় দুই বছর ধরে ব্রিজ এই অবস্থায় পড়ে আছে। ব্রিজ আছে রাস্তা নেই। এলাকাবাসীর ধারণা ঠিকাদাররা শুধু ব্রিজ করে টাকা নিয়ে গেছে। এই এলাকায় পৌরসভা থেকে শুরু করে যমুনার ওপার থেকেও লোক এখান দিয়ে চলাচল করে। আমরা পৌরসভাকে ট্যাক্স দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের উন্নয়ন নেই।

আরও পড়ুন

আমাদের বের হওয়ার রাস্তাঘাট নেই। এখানে ব্রিজ অনুযায়ী রাস্তা হোক। বেলকুচি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২০ সালে যমুনা নদীর ক্যানেলের ওপর চরদেলুয়া সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়-বক্কার প্রামাণিকের বাড়ি পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ৬ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৩২ মিটার চেইনেজ ৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মার্চে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ব্রিজটির মূল কাঠামো নির্মাণ হয়। তবে চার বছরেও ব্রিজটির অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ হয়নি। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ না করায় অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করতে পারছে না এলজিইডি। উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, দেলুয়া ব্রিজটির স্ট্রাকচারাল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়ায় অসুবিধাজনিত কারণে কাজ সমাপ্ত হয়নি। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে তা শেষ হলেই বাকি কাজটা ঠিকাদার করে দেবে। অ্যাপ্রোচ রোড থেকে একটি রাস্তা পরবর্তী ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করব।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেরোবিতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যুক্ত হলো ৭টি বাস

দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সাহেলা আক্তার

চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই, খামার থেকে মরদেহ উদ্ধার

নাফ নদী থেকে প্রায় আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

সারাদেশে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুলছাত্রের মৃত্যু