ভিডিও সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন, ছবি: সংগৃহীত।

২০১৩ সালে জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ পড়া প্রায় ৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ আন্দোলন চালাচ্ছেন তারা। বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজারখানেক শিক্ষকরা সেখানে জমায়েত হয়েছেন।  

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলছেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার সারা দেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তখন সারা দেশে ৩০ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কিছু বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ রেখে ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। তারা বলেন, ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখা থেকে উপসচিব গোপাল চন্দ্র দাস স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়— ৩য় ধাপে জাতীয়করণযোগ্য বিদ্যালয়সমূহ জেলা যাচাই-বাছাই করে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এরপরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য একটি চিঠি ইস্যু করা হয়, যার স্মারক নং ০৩.০৭৪.৩৮.০৪৮.০০.০০১.২০১৮-৬৭। এখানে বলা হয়ছে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ তালিকা বহির্ভূত বিদালয়সমূহ/আবেদনসমূহের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সারসংক্ষেপ প্রেরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

তারা আরও বলেন, পরবর্তীতে ২০২৫ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কয়েক দফা আন্দোলন করার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়। তবে এখনও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য সুপারিশ করার পরেও জাতীয়করণের কোনো অগ্রগতি নেই।সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. নওশাদ আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শত  প্রতিকূলতার মাঝেও বিশ্ব দরবারে আজ বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি ও কনসালটেশন কমিটির সুপারিশকৃত অনধিক ৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জোর দাবি জানাই। 

আরও পড়ুন

সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মাহবুবা মালা গণমাধ্যমে বলেন, জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা অন্যের শিশুকে পাঠদান দিলেও আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। এমতাবস্থায় শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক অহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ২০১৩ সালে সকল বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা হলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অনধিক পাঁচ হাজার জাতীয়করণ বঞ্চিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুকৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা শুধু আশ্বাস পেয়েছি। বাস্তবতার কিছুই পাইনি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্যে প্রধান উপদেষ্টার হয়ক্ষেপ কামনা করছি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খুলনায় হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার কারণে সিঙ্গাপুর অনুকরণীয় দেশ : বাণিজ্য উপদেষ্টা

জনসমর্থন ছাড়া কিছু করতে গেলে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে: আমীর খসরু

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

ভাঙ্গার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত, এখনো বন্ধ দুই মহাসড়ক

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার