ভিডিও

দশ মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৫.৬১%

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ১০:০৩ রাত
আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ১১:৪৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল সময়ে রাজস্ব আহরণ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা হয়েছে।

বুধবার রাজস্ব আদায়কারী দেশের প্রধান সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১০ মাসের রাজস্ব আদায়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৩৯ হাজার ৮২ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা।

গত ১০ মাসে আদায় হওয়া রাজস্বের পরিমাণ চলতি অর্থবছরের জন্য নির্ধারণ করা সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, একক মাস এপ্রিলে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৯ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের এপ্রিলের চেয়ে ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। গতবার এপ্রিলে রাজস্বের পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।,

এরপরও উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভোক্তাদের জেরবার এবং সংকোচনমূলক নীতির কারণে ব্যবসা-বিনিয়োগ ও অর্থনীতিতে ধীর গতির মধ্যে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে অর্থবছরের শেষ দুই মাসে এনবিআরকে এক লাখ ২০ হাজার ৬২২ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে আদায় করতে হবে ৬০ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, যা বর্তমান আদায়ের পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের জটিলতা ঠিক না করে রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব না। এটি এনবিআরের হাতেও নেই।

তার ভাষ্য, ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজার তো ভঙ্গুর হয়ে গেছে। ডলার সংকটে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার বর্তমান অবস্থায় আদায় খুব একটা বাড়বে না।

হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মাসে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক ও ভ্যাট (মূসক) মিলিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। আগের একই সময়ে যা ছিল ৭৪ হাজার ২২১ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক এবং টার্নওবার কর থেকে মোট আদায় হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা, যা আগের বারের একই সময়ে ছিল ৯৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমকি ১ শতাংশ।

অপরদিকে প্রত্যক্ষ কর আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ৯৩ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা আহরণ হয়েছে, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৮ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। প্রবৃদিধর হার ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এদিকে একক মাস এপ্রিলে রাজস্ব আহরণের প্রধান তিন খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে আমদানি শুল্কে (২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ)। আয়করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং মূসকে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS