পীরগঞ্জে জনপ্রিয় হচ্ছে ধানের চারা রোপণ যন্ত্র
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: পীরগঞ্জে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধানের চারা রোপণ যন্ত্র। বিগত চার বছর ধরে উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ধানের চারা লাগানোর জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের তদারকিতে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় জমিতে এই রোপণ পদ্ধতি দ্বিতীয় মৌসুমেও চলমান রয়েছে।
ফলন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে আমন ধান রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। সম্প্রতি পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। গত বছর উপজেলার শানেরহাট ও বড়দরগাহ ইউনিয়নে একই পরিমাণ জমিতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল।
এই পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নে সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ একর জমিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একই জাতের বীজ একই সময়ে ট্রের মাধ্যমে বসানো হয় ২০ শতাংশ জমিতে। যা ৫০ একর জমিতে রোপণ করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, বিগত কয়েক বছর থেকে প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারে কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। এখন শ্রমিকদের অপেক্ষায় দিন গুণতে হয় না তাদের। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে কয়েক বিঘা জমি চাষাবাদ করা হচ্ছে। এতে সময় এবং টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজামান সরকার জানান, সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল একই জাত ব্যবহার, ট্রেতে বীজ বপণ, কম বয়সের চারা রোপণ, চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল, ধান কর্তনে, পরিস্কার, প্যাকেজিং-এ কম্বাইন হার্ভেস্টারের ব্যবহার, উৎপাদন বাড়ানো, কম সময়ে স্বল্পমূল্যে শ্রম সাশ্রয়ী।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সম্ভব হবে এই চাষাবাদে। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটে এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা যাবে। এ বিষয়ে কৃষকদের কারিগরি সুবিধা ও সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগ।
মন্তব্য করুন