যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়েছে। তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল মিস্টার ডোনাল্ড লু এসে শেখ হাসিনার সরকারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে। এই ছিল বিএনপির স্বপ্ন। কোনোটাই হয় নাই বরং শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল। আর শেখ হাসিনার সরকার দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পিরোজপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরশ বলেন, যুবলীগকে যে কোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুর কন্যার অর্জনসমূহ নির্ণয় করতে হবে এবং মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র আমাদের রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে। শেখ হাসিনা একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানবতাবাদী এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি গণমানুষের নেতা থেকে আজকে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে একমাত্র শেখ হাসিনা অপরিহার্য বাংলাদেশের জন্য। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।
 
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের অপরাজনীতি বন্ধ করেন। বিএনপির অপরাজনীতির একটা বৈশিষ্ট হচ্ছে পরনির্ভর রাজনীতি। তারা এদেশের জনগণের বদলে বিদেশি শক্তির ওপর বেশি নির্ভর করে। তার অন্যতম কারণ হলো জাতীয় সংকটে কখনো জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি তারা। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার রাজনীতি থেকে কোনো সুফল আসতে পারে না। শান্তি সমাবেশে যারা যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্রেনেড বোমা মেরে বিরোধী জনগোষ্ঠীর ২৫ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে, তারা আবার গণতান্ত্রিক অধিকারের নালিশ করে কোন মুখে। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে, মিথ্যাচার করছে এবং মৌলিক অধিকার হরণ করছে।

দুপুরে পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীর সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, আইটি সম্পাদক  এস আই আহম্মেদ সৈকত প্রমুখ।