ভিডিও

পানি কমলেও আবারও বৃষ্টির আভাস সিলেটে

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট: জুন ২২, ২০২৪, ০১:০৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল কমায় নদ-নদীর পানিও কমেছে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিলেটে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে কমে বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি অন্যান্য পয়েন্টে বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। নদনদীর পানির সঙ্গে বৃষ্টিপাতও কমেছে সিলেটে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দু’একদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে শনিবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।

সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে শনিবার সকালে বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ০৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

শনিবার সকাল নয়টায় কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল এই পয়েন্টে পানি ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে অপরিবর্তীত রয়েছে। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল ৯টায়ও একই মাত্রায় প্রবাহিত হচ্ছিল।

তবে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে গতকালের তুলনায় আরও কমেছে। আজ সকাল ৯টায় বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে শনিবার লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানিও কমেছে।

শুক্রবার রাতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩টি ও জেলার ৪টি পৌরসভাসহ ১২০টি ইউনিয়ন প্লাবিত রয়েছে। এতে জেলার ১ হাজার ৪৯৮টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এই পরিস্থিতে জেলার ৩৬৬ আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫ হাজার ২৭৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাদুর্গত এলাকায় ৯ লাখ ৭৮ হাজার ২২৩ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS