নিউজ ডেস্ক: ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে সাধারণ যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য তৈরি করা যাত্রী ছাউনিগুলোর বেশিরভাগই এখন ব্যবসার কাজে ব্যাবহার করছে দখলদাররা।
সড়কের কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ডে তিনটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে এবং আকবরনগর-মিরারচর বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে দুইটি যাত্রী ছাউনি। একই ইউনিয়নে পাঁচটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ও আকবরনগর মিরারচর বাসস্ট্যান্ডের তিনটি যাত্রী ছাউনির মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্মাণ করা ছাউনি দখল করে দুইটি ফলের দোকান বসেছে। এর ফলে ছাউনির ভেতর ও বাহিরে যাত্রী বসার ও দাঁড়ানোর পরিবেশ নেই। এই ছাউনির পেছনে শাটারযুক্ত দুইটি দোকানও রয়েছে। ওই দুটি দোকান প্রতিবছর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বছরের চুক্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইউছুফ খান ও জুয়েল মিয়া ভাড়া নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর জরাজীর্ণ ছাউনিটি সংস্কার করে পরিষদের উন্নয়নের জন্য নিয়মনীতি অনুসরণ করে দোকান দুটি ভাড়া দেন।
ওই দোকান দুটি দুই ফল ব্যবসায়ী আনুমানিক ৪ মাস আগে ভাড়া নেন। কিন্তু তারা দোকানের সামনের অংশ যাত্রী ছাউনি পুরোপুরি দখল করে ফলের ব্যবসা করছেন এবং দোকান দুটিকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছেন।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী আরও দুটি যাত্রী ছাউনি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ওই দুটি ছাউনির একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার গ্যারেজের সামনে অটোরিকশা মেরামত করতে দেখা গেছে এবং অন্যটি একটি টিভি ফ্রিজের দোকানের সামনে থাকায় দোকানের মালামাল রাখার কারণে যাত্রী বসার মতো কোনো পরিবেশ নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এছাড়াও আকবরনগর-মিরারচর বাসস্ট্যান্ডের দুটি যাত্রী ছাউনির মধ্যে একটি ছাউনির সামনে একটি নার্সারির গাছ রাখা হয়েছে এবং অপরটির সামনে একটি পিঠার দোকান রয়েছে। ফলে যাত্রীদের বসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও একটি যাত্রী ছাউনির পেছনে থাকা দুটি দোকানের পণ্যভর্তি বস্তা রাখার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া জানান, কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ডের একটি যাত্রী ছাউনি দীর্ঘ চল্লিশ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন যাবত ছাউনিটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সেখানে আগে চা স্টল ছিল। পরবর্তীতে তিনি যাত্রী ছাউনিটি সংস্কার করেন। ছাউনির পেছনের সাইডে দুটি দোকান রয়েছে।
তিনি জানান, ওই দোকানগুলো মূলত দুজন ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তারা কয়েকদিন ধরে দোকানের সামনের অংশ ছাউনিতে ফলের দোকান সাজিয়ে বসেছেন। এ বিষয়ে তিনি দুই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলবেন তারা যেন দোকানের ভেতরে তাদের ব্যবসা সীমাবদ্ধ রাখেন।
মিরারচর গ্রামের বাসিন্দা কিরণ চন্দ্র বলেন, যাত্রী ছাউনিতে যাত্রীরা বিশ্রাম নেবে এবং সেখানে বসে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকবে। কিন্তু সেসব ছাউনি দখল হয়ে আছে। দখলকৃত যাত্রী ছাউনিগুলো যাত্রীদের ব্যবহারের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।