রংপুরে আরও দুই মামলা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আসামি ১৭৪ জন
রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ ১২৮ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও একজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
আইনজীবী জানান, গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুন্থানের বিক্ষোভ চলাকালে রংপুর মহানগরীর মিনি সুপার মার্কেটের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকমীরা আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় বাবা আব্দুল মজিদকে দুপুরের খাবার দিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা মাহমুদুল হাসান মুন্নাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা সাবেক এমপি মোতাহার হোসেন, মতিয়ার রহমান, সফুরা খাতুন, ডিউক চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট, রাকিবুজ্জামান আহমেদ, রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা করেছে তার বাবা আব্দুল মজিদ।
আরও পড়ুনঅতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ বাবু মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে একই আদালেত ১৯ জুলাই ছাত্রজনতা আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী রংপুর সরকারি কলেজের ছাত্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী জিম গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনায় হত্যাচেস্টা মামলা করেন তার বাবা রবিউল ইসলাম।
এই মামলায় আইনজীবি আলাউদ্দিন আলমগীর জানান, এই হত্যাচেস্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ কমিশনারসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। ১৯ জুলাই রংপুর সিটি পার্ক মার্কেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় জীম। তার চোখের মধ্যে এখনও গুলি লেগে আছে। বের করা যাচ্ছে না। এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে জীম।
মন্তব্য করুন