ভিডিও

বগুড়ার শিবগঞ্জে সাবেক এমপি ও বসুন্ধরার এমডিসহ ১২৩ জনের নামে মামলা দায়ের

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৮, ২০২৪, ০৮:০৫ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৮, ২০২৪, ০৮:০৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শিবগঞ্জে এবার দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ১২৩ জন আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেশির ভাগ আসামিকে অর্থদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে এই মামলা করা হয়েছে।

মামলায় অন্যতম আসামিদের মধ্যে রয়েছে বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আকবর সোবাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, সাবেক এমপির শ্যালক শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, সাবেক এমপির ছেলে হুসাইন শরিফ সঞ্চয়সহ আওয়ামী লীগ জাতীয় পাটির্, নাগরিক ঐকের নেতাকর্মীরা। এই মামলা আরো ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

দাখিলকৃত মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি বর্ষণ করে ওমর ফারুককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে মামলা দায়ের করেন শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ছেলে বিপুল প্রামানিক। শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হান্নান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বিপুল,  রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম দুদু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রুপম, মাঝিহট্টের ইউপি চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী, বিহারের ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, বুড়িগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চঞ্চল, মোকামতলার ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবীব সবুজ, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম তার স্বামী সাবেক সাব রেজিস্টার শাহ আলম, নাগরিক ঐক্যের নেতা মুন্না চৌধুরী।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে  একদফা দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিল শিবগঞ্জ উপজেলার আমতলী বন্দরে পৌঁছিলে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। মিছিলে অংশ নেওয়া ওমর ফারুককে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে পরে হত্যার উদ্দেশে গুলি চালায়। ওই গুলি ওমর ফারুকের দুই চোখে লেগে রক্তাক্ত জঘম হয়। বর্তমানে তার চোখ নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। এ সময় গুলিতে ওমর ফারুকসহ অনেকেই আহত হয়। পরে ছাত্র জনতা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ওমর ফারুককে উদ্ধার করে বগুড়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চোখের অবস্থার অবনতি হলে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হান্নান সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ১২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলাটি দায়ের করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS