ভিডিও

‘দৈনিক করতোয়া’ সংবাদ প্রকাশের পর

কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি হাসপাতালে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৮:৩০ রাত
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ১০:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দির ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় ‘অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে সারিয়াকান্দি হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানের বেশকিছু উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়তো ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই এসব প্রতিনিধিদের আর চোখে পড়ছে না। হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকা ও ২২০ টাকা ফি তে আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার রিপোর্ট। তবে হাসপাতালে বহু আগের এনালগ এক্স-রে মেশিনটি দিয়ে নির্ভরযোগ্য রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে না বলে সেটি ডিজিটাল আকারে চালু করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে চালু হয়েছে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি। তবে এন্সেথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে সিজারিয়ান অপারেশন চালু করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গাইনি, মেডিসিন ও শিশু রোগের তিনজন স্পেশালিস্ট ডাক্তার রোগীদের প্রয়োজনীর ফ্রি পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া রোগীরা ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ ওষুধ হাসপাতাল থেকে ফ্রি পাচ্ছেন। এছাড়া অন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীদের সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক ওষুধসহ চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ফ্রি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হাসপাতালের তিনবেলা খাবারের মানও পরিবর্তন এবং উন্নত করা হয়েছে। হাসপাতালের বাইরে থাকা বেশিরভাগ ডাক্তাররা এখন হাসপাতালের কোয়াটারেই থাকছেন। তবে কোয়াটারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কিছু ডাক্তার ভাড়া বাসায় থাকছেন। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটি অত্যাধুনিক অপারেশন যন্ত্রপাতি দিয়ে নতুনভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়া বেশিকিছু প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষাও নতুনভাবে চালু করা হয়েছে।

কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি হাসপাতালে

তবে হাসপাতালটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও এখানে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। তাছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩৫০ জন থেকে ৪০০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। হাসপাতালটির বেশকিছু তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকটের জন্য হাসপাতাল পরিচালনায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।

উপজেলা সদরের ঝরনা বেগম বলেন, আমি গরীব মানুষ। গতকাল এ হাসপাতালে আমার মেয়ের নরমাল ডেলিভারি করে নিলাম একেবারেই বিনাখরচে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব হাসান তালুকদার বলেন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীর চাপ কয়েকগুণ বেশি। সে অনুযায়ী এখানে কিছু জনবল এবং চিকিৎসার সরঞ্জামাদির সংকট রয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নতিকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শয্যা সংকট দূর হলে হাসপাতালটি একটি মডেল হাসপাতালে পরিণত হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS