ভিডিও

দিনাজপুরে স্বল্প সময়ে নতুন জাতের ধান আবাদ করে কৃষক পাচ্ছেন বাড়তি ফসল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৫:৩১ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৫:৩১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : প্রতি বছরই বাড়ছে মানুষ, কমছে আবাদি জমি। দেশের ক্রমহ্রাসমান এই জমিতেই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবন করছে নতুন জাতের একটি ধান। ব্রি ধান-৭৫ নামে এই ধানটি স্বল্প সময়ে চাষ হওয়ায় কৃষকরা একই জমিতে আবাদ করতে পারছে বাড়তি আরও একটি ফসল।

ইতোমধ্যেই সেই ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। বাড়তি ফসলের পাশাপাশি তুলনামূলক কম খরচেই এই ধান আবাদ করে ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হয়ে খুশি ধানের জেলা দিনাজপুরের কৃষকরা। দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক মতিউর রহমান। কৃষক মতিউর রহমান জানান, এবার আমন মৌসুমে ব্রি ধান-৭৫ আবাদ করেছেন ১৫ একর জমিতে।

তার একর প্রতি ফলন এসেছে ৬০ থেকে ৭০ মণ। পাশাপাশি ব্রি ধান-৭৫ জাতে তুলনামূলক সার ও কীটনাশক কম লাগায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম হয়। অন্যান্য আমন ধান আবাদে কমপক্ষে ১৩০ থেকে ১৩৫ দিন সময় লাগলেও এই ধান আবাদে সময় লাগে ১১০ থেকে ১১৫ দিন।

যে কারণে দুই ফসলের ধানের জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে আলু বা সরিষা চাষ করে কৃষক বাড়তি আয় করতে পারবেন। এতে লাভবানও হচ্ছেন তারা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই জাতটি বেশ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কৃষক।

এদিকে অন্যান্য কৃষকরাও ধানের বাম্পার ফলন দেখে বেশ খুশি এবং তারা বলছেন এই অঞ্চলের আবহাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী জাত ব্রি ধান-৭৫। তাই তারা আগাম এই ধান দ্রুত ঘরে তুলতে ব্যস্ত, কারণ এর পরেই শুরু হবে আলু বা সরিষার আবাদ।

শুধু কৃষকরা নন, আগাম জাতের এই ধান আবাদ হওয়ায় খুশি কৃষি শ্রমিকরাও। ইতোমধ্যেই এই ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় কৃষি শ্রমিকরা জানান, এই সময়ে তাদের কোন কাজ থাকে না, কিন্তু আগাম জাতের এই ধান আবাদ হওয়ায় এখন তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

বিএডিসি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৭৫ চাষাবাদে ২০ শতাংশ সার কম লাগে। সুগন্ধি ও চিকন জাতের এ ধান বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়। তাই কৃষক এ ধান চাষাবাদ করে লাভবান হন। ক্ষেত থেকে এ ধান কাটার পর কৃষক রবি শস্য চাষাবাদ করতে পারেন।

স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ও আগাম এ জাতের ধান চাষাবাদ করে কৃষক ২ ফসলি জমিকে ৩ ফসলি ও ৩ ফসলি জমিকে ৪ ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে পারেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS