আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দফতর লক্ষ্য করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। যদিও বিভিন্ন সূত্রের দাবি, হামলায় অক্ষত আছেন হিজবুল্লাহ প্রধান।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে দক্ষিণাঞ্চলীয় হারিত রিক এবং দাহিয়েহ এলাকা লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১৫টি মিসাইলসহ নতুন ধরনের বোমা ছোঁড়ে তেল আবিব। বাংকার বাস্টার নামক এই বোমার ওজন প্রায় ৫ হাজার পাউন্ড। যার আঘাতে পুরোপুরি মাটিতে মিশে যায় অন্তত ডজনখানেক আবাসিক ভবন। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, হিজবুল্লাহর মূল হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, টার্গেটে ছিলেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, হিজবুল্লাহর সক্ষমতা আর তাদের কমান্ডারদের নিশ্চিহ্ন করতে ইসরাইলি বাহিনী তাদের হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যেটি দক্ষিণ লেবাননের আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। আমাদের এই হামলা নির্ভুল এবং সুনির্দিষ্ট ছিল।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের দাবি, বৈরুতের হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ গোষ্ঠীটির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডাররা। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ ভাষণে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করার পর বৈরুতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এই তুমুল বিমান হামলা শুরু হয়েছে। গত বুধবার লেবাননে তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। এদিকে মুখে সংঘাত বন্ধের কথা বলেও ইসরাইলি বর্বরতায় নগ্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আত্মরক্ষার অধিকার তেল আবিবের আছে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের ভাগ্য নিধারণ করে দেবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।