ভিডিও

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ ক্যাম্পে আগুন  

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ০৪:২১ দুপুর
আপডেট: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ০৪:২১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজ্যটির এক চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর শহরে নয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে উত্তেজিত জনতা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। জয়নগর মহিষমারি ফাঁড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে আগুন।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মহিষমারি এলাকায় পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় এক শিশুর মরদেহ। চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, বিকেলে কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই শিশু। খুঁজে না পেয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারটির অভিযোগ, তাদের কথায় প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। পরিবারের দাবি, অভিযোগের কথা শুনেই পুলিশ তৎপর হয়ে উঠলে শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যেত। পুলিশের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পরেও তাকে না পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে যান পরিবারের লোকেরা। সেখানে নিখোঁজ ডায়েরি করতে চান তারা। পুলিশকর্মীরা জানান এখানে অভিযোগ নেয়া যাবে না। যেতে হবে জয়নগরে। যদিও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক যুবককে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ তাদের।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালেও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ নিয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হন অনেকে। ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS