মধ্যপাড়া পাথর খনিতে সর্বোচ্চ পাথর উৎপাদন
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে মাসিক পাথর উৎপাদনে সর্বোচ্চ পাথর উৎপাদন করে উত্তোলনের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে জিটিসি। পাথর খনির পরিচালনা, উৎপাদন এবং উন্নয়নে খনির দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’এর সাথে ২য় দফা চুক্তির পর গত অক্টোবর মাসে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন মাসিক সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ পাথর উত্তোলন করেছে।
জানা যায়, ২০০৭ সালে পাথর খনির বাণিজ্যিক উত্তোলনের শুরু থেকে পেট্রোবাংলার মাসিক পাথর উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সকল মাসেই অধিক পরিমাণে পাথর উত্তোলন করেই চলেছে জিটিসি।
বর্তমান চুক্তির সময়কালে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতি মাসেই জিটিসি পাথর উত্তোলনের নিজেদের গড়া রেকর্ড দিয়ে নতুন মাইল ফলক স্থাপন করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে এবং দেশের চলমান অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় মধ্যপাড়া পাথর খনিটি ইতিপূর্বে ধারাবাহিক লোকসানে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পাথর খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে ২০১৩ সালে জিটিসি’র সাথে খনি কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়।
আরও পড়ুনজিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতাসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জিটিসি গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে টানা ৫ অর্থবছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে।
যার ফলশ্রুতিতে পাথর উত্তোলনে জিটিসি’র এ সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসি’র সাথে নতুন করে আবারো খনি কর্তৃপক্ষের ছয় বছরের জন্য চুক্তি হয়। দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে নির্ধারিত সময়ে বাৎসরিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।
খনি সূত্র জানায়, মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে উৎপাদনের মাসিক এই নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টির ফলে খনিটি বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্ত খনি কর্তৃপক্ষের আয়তাধীন পাথর বিক্রি অতিমাত্রায় ধীর গতিতে হওয়ার ফলশ্রুতিতে পাথর বিক্রি বাড়ছে না। বর্তমানে খনির বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টনের অধিক পাথর মজুদ রয়েছে।
মন্তব্য করুন