ভিডিও শনিবার, ১০ মে ২০২৫

দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতা সাধারণের অস্বস্তি

সংগৃহীত,দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতা সাধারণের অস্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তা সাধারণ। বিশেষ করে সবজির বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ ও চালের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতা সাধারণ। 

বাজার করতে আসা গৃহিনী আমেনা বেগম বলেন, গত কয়েক দিন আগেই আলুর কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় কিনেছি। আর আজ কিনতে এসে দেখছি সব ধরনের আলুর দাম ৭০ টাকা। অথচ বাজারে আলুর কোন সংকট দেখা যাচ্ছে না। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। 

আরেক ক্রেতা আব্দুল করিম বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে ১৫০ টাকা কেজিতে উঠেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম হলেও অনেক ক্ষেত্রে মান ভালো হয় না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারের বাজার তদারকির অভাবের কারণেই এমন লাগামহীন অবস্থা বাজারের।

বাজার করতে আসা দোকান কর্মচারী সাইফুল মুন্সি বলেন, সপ্তাহ শেষে যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে বাজার করা খুব কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে সব ধরনের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কম নয়। চাল গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।  
গতকাল বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ শহরের বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০০, সব ধরেনর আলুর কেজি ৭০, বেগুন, ফুলকপি, বরবটি ও করলা ৮০, পটল ৬০, শশা ও  মিষ্টিকুমড়া ৫০, পেঁপেঁ ২৫/৩০, কাঁচামরিচ ১২০, টমাটো ১৬০, দেশি আদা ২০০, দেশি রসুন ২৮০, শুকনামরিচ ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ আগে সব ধরনের চালের দাম বাড়লেও এখনও তা সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৬২-৬৪, বিআর ২৯ চাল ৬২, কাটারিভোগ ৭০-৭২, নাজিরশাইল ৮০-৮২ এবং মিনিকেট চাল ৭০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও এক কেজি প্যাকেট আটা ৪৫ থেকে দাম বেড়ে ৪৮, ময়দা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৬৫, এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬৮, পাঁচ লিটার ৮১৫, চিনির কেজি ১২৮, মসুরের ডাল মানভেদে ১১০-১৪০, খেসারি ডাল ১১০ এবং মুগ ডাল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

আরও পড়ুন

ডিমের হালি ৪৮, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০, ককরেল মুরগি ২৮০, দেশি মুরগি ৪৮০, গরুর মাংস ৭০০ এবং খাসির মাংস এক হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৩০-৩৫০ এবং তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩৪০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হয়। এছাড়াও টেংরা মাছ আকারভেদে ৪০০-৫৫০, শিং মাছ ২৫০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও ইলিশ মাছ আকারভেদে এক হাজার ৮৫০ থেকে সর্বনিম্ন সাড়ে ৫শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। 

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার শাহবাগে গণজমায়েতের ডাক

বগুড়ার সোনাতলায় আ’লীগ নেতা বাবা-ছেলে গ্রেফতার 

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আওয়ামী লীগের ৪ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

বগুড়া কাহালুর মুরইল ইউনিয়ন আ‘লীগের সা.সম্পাদক আল আমিন গ্রেফতার

প্রমত্তা করতোয়া এখন মরা খাল!

আ.লীগ নেত্রীর মেয়েকে জুলাইযোদ্ধা অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ করায় কুপিয়ে জখম