ভিডিও রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

পাঁচ বছরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ১২০ জন পোড়া রোগী মারা গেছে

পাঁচ বছরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ১২০ জন পোড়া রোগী মারা গেছে

সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, রংপুর : রংপুর বিভাগের আট জেলায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছরের (২০২৪) সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ২ হাজার ৮৮৮ জন আগুনে পোড়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১২০ জন। তবে পোড়া রোগীদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। সচেতনতার অভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে চিকিৎসকেরা জানান।

হাসপাতাল সূত্রে জনা যায়, বার্ণ ইউনিটে যেসকল পোড়া রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন তাদের বেশিরভাগ আগুন, গরম পানি, গরম ছাই, বৈদ্যুতিক আগুন ও ক্যামিকেলে পোড়া। আগুনে পোড়া যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন তাদের বেশিরভাগের বাড়ি পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলায়। এছাড়াও, লালমনিহাট, কুড়িগ্রাম গাইবান্ধা ও রংপুরের কিছু রোগী আছেন।

২০২০ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ৬৩০ পোড়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে মধ্যে শিশুর সংখ্যা ২১৪ জন। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে আগুনে পোড়া ৩৭০ জন, গরম পানিতে ঝলসানো ১৮৮ জন, গরম ছাইয়ে পোড়া ১৮ জন ও বৈদ্যুতিক আগুনে ৫৪ জন। এসময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৮ জন।

২০২১ সালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৫৪৮ জন পোড়া রোগী। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া ১৭৮ জন, গরম পানিতে ২৫৫ জন, ছাইয়ের আগুনে ২৫ জন ও বৈদ্যুতিক আগুনে ৭০ জন। পোড়া রোগীদের মধ্যে শিশু রয়েছে ১৭২ জন। এসময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২২ জন।

২০২২ সালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬০৮ জন পোড়া রোগী। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া ২৮৮ জন, গরম পানিতে ২১২ জন, ছাইয়ের আগুনে ৮ জন ও বৈদ্যুতিক আগুনে ৭৬ জন। পোড়া রোগীদের মধ্যে শিশু রয়েছে ১০৪ জন। এসময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩০ জন।

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৫৮০ জন পোড়া রোগী। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া ২৯০ জন, গরম পানিতে ২৫৫ জন, ছাইয়ের আগুনে ১০ জন ও বৈদ্যুতিক আগুনে ৬৮ জন। পোড়া রোগীদের মধ্যে শিশু রয়েছে ১১৫ জন। এসময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩৫ জন।

২০২৪ সালে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন মোট ৫২২ জন পোড়া রোগী। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া ১৭৬ জন, গরম পানিতে ২৩৬ জন, ছাইয়ের আগুনে ২৮ জন ও বৈদ্যুতিক আগুনে ৬৪ জন। পোড়া রোগীদের মধ্যে শিশু রয়েছে ১৭০ জন। এসময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২ জন। পোড়া রোগীদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সবচাইতে বেশি।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এমএ হামিদ পলাশ জানান, হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে যেসমস্থ পোড়া রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন তাদের বেশির ভাগেই নারী ও শিশু। কেউ আগুনে অথবা গরম ছাইয়ে পুড়ে, কেউ গরম পানিতে ঝলসে আর কেউ কেউ আসেন বৈদ্যুতিক আগুনে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদে নীল পোশাকে মুগ্ধতা ছড়ালেন মিম

আমার খেলার আর বেশি বছর নেইঃ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা করা নির্বাচনের সময়কে ‘ইতিবাচক’ বললেন হাস্নাত

তারেক রহমান-এর নির্দেশে ঈদের দিন শহীদ পরিবারের পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

কুরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে আহত ৩ শতাধিক

ঢাকায় কাঁচা চামড়ার দাম কম, হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা