ভিডিও শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

কোকোডাস্টে বাণিজ্যিকভাবে সবজির চারা উৎপাদন

কোকোডাস্টে বাণিজ্যিকভাবে সবজির চারা উৎপাদন। ছবি : দৈনিক করতোয়া

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : নাগেশ্বরীতে কোকোডাস্টে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সবজির চারা উৎপাদন করছেন উদ্যোমী এক যুবক। গড়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি প্লাটফর্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এতে উৎপাদিত চারাগুলো সুস্থ সবল ও শতভাগ শেকড়যুক্ত। ক্রমে বাড়ছে এর চাহিদা। উপজেলার কদমের তলায় সড়কের পূর্বে এ প্রতিষ্ঠান ঘিরে এখন সর্বদা সরগরম ক্রেতা আগমনে। এতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক পরিবার।

উদ্যোক্তা ও উদ্যোমী যুবক উপজেলার ডুংডুংগির হাটের ইদ্রিস আলীর ছিল ছোট থেকে কৃষির প্রতি ভালোবাসা। তাই সময় নষ্ট না করে অনেকদিন ধরে বাড়তি উপার্জনের আশায় বিভিন্ন নার্সারি ঘুরে সবজির চারা সংগ্রহ করে দেশের অনেক জায়গায় অনলাইনে পাঠাতেন।

অবশেষে গত ৮ মাস আগে কদমতলায় রাস্তার পাশে ৪০ শতক জমি বাৎসরিক লিজ নিয়ে সেখানে গড়ে তোলেন সবজির চারা উৎপাদন ও বিপননে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে ও দক্ষতা বাড়াতে এ সম্পর্কে বিস্তৃত জ্ঞান আরোহণে সহায়তা নেন ইউটিউবের। ধীরে ধীরে আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে সে ধারণা।

এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হয় সুস্থ, সবল, নিরোগ ও অধিক শেকড়যুক্ত বেগুন, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেপে, শসা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, শিম, টমেটোসহ প্রায় ৩৫-৪০ প্রকারের সবজি চারা। প্রতিদিন ৪০টি বেডে আকারভেদে ছোট-বড় প্রায় ৪ হাজার সীলডিং ট্রেতে কোকোডাস্ট ও ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে ১-২শ’ বীজ রোপণ করেন দৈনিক মজুরিতে কাজ করা ৫-৭ জন কৃষক। সঠিক পরিচর্যায় যা কয়েকদিনে নিরোগ, সুস্থ সবল ও রোপণযোগ্য হয়ে ওঠে।

মাটিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্ত এ চারাগুলো থেকে ফলন হয় আশানুরুপ। খরচ অনেক কম। প্রতিদিন সেখান থেকে সংগ্রহ করে ক্রেতাদের কাছে তা সরবরাহ করা হয়। অধিকাংশই অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ারে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

আরও পড়ুন

কৃষি প্লাটফর্মের পরিচালক ইদ্রিস আলী জানান, মাটির পরিবর্তে কোকোডাস্ট ব্যবহারে সবজির চারা পর্যাপ্ত খাবার ও পানি সরবরাহ করতে পারে। ফলে এ পদ্ধতিতে চারাগাছ দ্রুত বড় হয়। চারা তুলে রোপণের সময় এর শেকড় শতভাগ থাকে। অথচ সনাতন পদ্ধতিতে যে কোন চারা রোপণের উদ্দেশ্যে তোলার সময় এর ৬০ ভাগ শেকড় ছিড়ে যায়। দুর্বল ও বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত চারাগাছগুলো। কমে যায় ফলন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। আর আধুনিক পদ্ধতিতে এ আশঙ্কা নেই। অন্যান্য চারাগাছের চেয়ে এতে কমপক্ষে ৭-১০ দিন আগে ফল আসে। ফলনও ভাল পাওয়া যায়। প্রথমে ঝোঁকের মাথায় কাজটি শুরু করলেও অল্প কয়েকদিনে কৃষকের আগ্রহ বাড়ায় আয় হচ্ছে মোটামোটি। তাই একে ঘিরে এখন অনন্ত আগামীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি আমি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, আমরা প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। যুবক ইদ্রিস আলীর এ কৃষি প্লাটফর্ম ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রংপুরের পীরগাছায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় শিশু নিহত

নির্বাচন নিয়ে ইসি চিন্তা করবে, এটি আমার দায়িত্ব না: এম সাখাওয়াত

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি শুরু হয়েছে আবার ভাঙন

নিয়ন্ত্রণে এসেছে মতিঝিলের ভবনের আগুন