জাহাজে ডাকাতের হাতে নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে

মফস্বল ডেস্ক : চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের একটি সারবাহী জাহাজে ডাকাতের হামলায় সাতজন নিহত হন। গুরুতর আহত হন একজন। হতাহত সবারই পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয় নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে। তারা হলেন-নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লহরিয়া কালিগঞ্জের এগারনলি গ্রামের বাসিন্দা আবেদ মোল্লার ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৪০)। একই উপজেলার ইটনা ইউনিয়নের পাংখার চর উত্তর গ্রামের মাহবুব রহমান মুন্সির ছেলে আমিনুর মুন্সি (৪১)। ফরিদপুর সদর উপজেলার গেদ্দা ইউনিয়নের জুয়াইর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো. কিবরিয়া (৬৫)। একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে শেখ সবুজ (২৭)। জাহাজের বাবুর্চি ফরিদপুরের বাসিন্দা মো. রানা। মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার মন্ডল গাতি পোস্ট অফিসের চর বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিছ মিয়ার ছেলে মো. মাজেদুল ইসলাম মজিব (১৮)। একই জেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা দাউদ হোসেনের ছেলে মো. সজিবুল ইসলাম (২৯)। এ ছাড়া আহত জুয়েল ফরিদপুরের বাসিন্দা।
এদিকে সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম-সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দায়দায়িত্ব নিরূপণ, অনুরূপ ঘটনারোধে ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারণ করে সুস্পষ্ট সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুননৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাহাজে আটজন নয় বরং ৯ জন থাকার খবর পাচ্ছি। ইতোমধ্যে আরও নানা তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে আসছে। এটা প্রথম দিকে ডাকাতি মনে হলেও এখন এটা পরিকল্পিত ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড ধরেই আমরা আগাচ্ছি। নৌ-পথে অস্থিরতা তৈরি করতেই এমনটি করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছি। সকাল ১১টায় ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসবে। এরপরই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মন্তব্য করুন