বগুড়ার সোনাতলার ১৩ চরে কোন পাকাসড়ক নেই!

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ও পাকুল্লা ইউনিয়নের ১৩ চরে কোন পাকা সড়ক নেই। তাই ওই দুই ইউনিয়নের ১৩ চরের লক্ষাধিক মানুষ পাকাসড়কের সুবিধা পাননি এখনও। বন্যার সময় নৌকাযোগে যাতায়াত করলেও শুষ্ক মৌসুমে বালুময় দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে চরবাসীকে শহর-বন্দরে যেতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেকানীচুকাইনগর ইউনিয়নের সরলিয়া, জন্তিয়ারপাড়া, আউচারপাড়া, খাবুলিয়া, মহব্বতের পাড়া, পূর্ব তেকানী, পাকুল্লা ইউনিয়নের বালুয়াপাড়া, খাটিয়ামারী, মির্জাপুর, মিলন মন্দির, পূর্ব সুজাইতপুর চরে নেই কোন পাকা সড়ক। অথচ ওই দুই ইউনিয়নের ১৩ চরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করেন। বসবাসকারীদের মধ্যে ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষি কাজে জড়িত।
তাদের সন্তানের লেখাপড়ার জন্য প্রতিনিয়ত বালুময় দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে নদীর পশ্চিম পাড়ে আসেন। এছাড়াও চরাঞ্চলের জমিতে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে চরাঞ্চলবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেক সময় যোগাযোগ ভালো না থাকায় অসুস্থ চরবাসীকে উপজেলা সদরের হাসপাতালে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এছাড়াও চুরি-ডাকাতি যেন প্রতিদিনকার ঘটনা।
এ বিষয়ে খাটিয়ামারী চরের বাসিন্দা নিমাজ উদ্দিন, সরলিয়া চরের বাসিন্দা কাদের মোল্লা, জরিনা বেওয়া বলেন, এক সময় তাদের বাড়িঘর ছিল। এখন নদীর অব্যাহত ভাঙনে তারা চরের বাসিন্দা হয়েছেন। কোন রকমে খড়কুটো দিয়ে ঘর তৈরি করে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বসবাস করলেও যাতায়াতের পাকারাস্তা না থাকায় তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান একেএম লতিফুল বারী টিম বলেন, তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার ইউনিয়নের ৬টি চরে মাটি কেটে হাঁটার মতো রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তবে এখনও তার ইউনিয়নের চরাঞ্চলে কোন পাকাসড়ক হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, সকল নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে নিশ্চিত করার জন্য এক সময় চলাঞ্চলের রাস্তাঘাট পাকাকরণ হবে। আর তখনি চরবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য করুন