বগুড়ার সোনাতলায় খোলা খাবার খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় খোলা ও ভেজাল খাবার খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। বগুড়ার সোনাতলায় এক শ্রেণির মুনাফালোভী মিষ্টি ব্যবসায়ী ভালো মানের তেল ব্যবহার না করে পামওয়েল ব্যবহার করে হরেক রকমের মুখরোচক খাবার তৈরি করে হাট-বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যান। এমনকি এসব মিষ্টি ব্যবসায়ীরা নিমকি, জিলাপি, মিষ্টি, রসগোল্লা, খুরমা, চানাচুর, পিয়াজু, বুট, সামুচা, পরাটাসহ অন্যান্য খাবার নিম্নমানের তেল ও আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি করে বিক্রি করছেন।
আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এসব খাদ্য সামগ্রী খোলা পরিবেশে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এসব খাদ্য সামগ্রীর ওপর মশা-মাছির অবাধ বিচরণ করছে। গ্রামগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষ হাট-বাজারে এসে এসব খোলা খাবার খাচ্ছেন। এমনকি তাদের কোমলমতি সন্তানদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। আর এসব খাবার খেয়ে অসুস্থ হচ্ছেন শিশুসহ সকল বয়সের মানুষ।
এ বিষয়ে বালুয়াহাট এলাকার নিজাম উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, মশিউর রহমান বিপুল, প্রভাষক রেজাউল করিম রেজা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ হাট-বাজারে এক শ্রেণির ভ্রাম্যমাণ মিষ্টি বিক্রেতা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে। খোলা ও নোংরা পরিবেশে বসে মিষ্টি সামগ্রী বিক্রি করায় মানুষ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব ব্যবসা তারা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন, অথচ দেখার কেউ নেই।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লিভার ও পরিপাকতন্ত্র চিকিৎসক ডা. মোখছেদুল আলম বলেন, হাট-বাজারের এসব মুখরোচক খাবার খেয়ে মানুষ পেটের নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি লিভার ও কিডনি অল্প বয়সেই বিকল হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন