অর্ধকোটি টাকার পণ্য বিক্রির মাধ্যমে পাবনায় শেষ হলো খাদ্য ও ফ্যাশন মেলা

পাবনা প্রতিনিধি : অর্ধকোটি টাকার পণ্য বিক্রি ও ষাট লাখ টাকার পণ্য সরবরাহের চুক্তি নিয়ে শেষ হলো পাবনার নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত দশদিন ব্যাপী খাদ্য ও ফ্যাশান মেলা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বছরের শেষ দিনে মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা সদর জেনারেল হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. মো. রফিকুল হাসান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেসবুক পেজ হাংরি পাবনা’র অ্যাডমিন ও ক্রীড়া সংগঠক মিজানুর রহমান মিজু, মেলার আয়োজক নিপা ইসলাম, আ্যাডমিন দেওয়ান মাহাবুব প্রমুখ।
২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে জেলার নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে হাংরি পাবনা নামে ফেসবুক পেজ পঞ্চমবারের মত এই মেলার আয়োজন করে। জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে উৎসবমুখর পরিবেশে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলার আয়োজক নিপা ইসলাম জানান, করোনা মহামারির সময়ে ঘরবন্দি কর্মহীন বেকার নারীদের পারিবারিক আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে জেলার কিছু উদ্যোমী তরুণ-তরুণীদের নিয়ে যাত্রা শুরু হয় হাংরি পাবনার। প্রথমদিকে ক্রেতাদের জন্য শুধু হোমমেড খাবারের আয়োজন থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পরর্বতীতে পোশাকের সমাহার সংযোগ হয়।
আরও পড়ুনএবারের মেলায় শীতের পিঠা-পুলি থেকে শুরু করে হাঁসের মাংস, কালাই রুটি ও লুচি আলুর দোম, সামুদ্রিক মাছের সমাহার ছিল। এছাড়া ভুনা খিচুড়ি থেকে শুরু করে নানা পদের দুধের পিঠা, তেলে ভাজা ও ভাপা পিঠা বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা একদিকে যেমন মুখরোচক খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে হাতে তৈরি দেশি পোষাক কিনেছেন।
মেলায় নারীদের জন্য থ্রি-পিস, শাড়ি, চুড়ি, মালা থেকে শুরু করে সাজসজ্জার প্রতিটি সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। একইসাথে নিজের হাতে তৈরি খেজুরের পাটারি, জবের ছাতু, কুমড়া বড়ি, সরিষার তেল, ঘি, মধুসহ নানা প্রকারের গাছ সমাহার নিয়ে এসেছিলেন উদ্যোক্তারা।
এবারের মেলায় ৩৫টি স্টলে ৭০ জন নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমী এই খাদ্য ও ফ্যাশান মেলাতে ১৬টি খাদ্যের ও ১৯টি পোশাকের স্টল বসে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে মেলার কার্যক্রম।
মন্তব্য করুন