কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর নীলকমল নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ রেলিংবিহীন কাঠের সেতু
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ফুলবাড়ীর সীমান্ত ঘেষা নীলকমল নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ রেলিং বিহীন কাঠের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন। ঝুঁকিপূর্ণ ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের কাঠের সেতুটি সীমান্তবাসীর একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম ও খলিল মিয়া জানান, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের নাখারজান সীমান্তের নীলকমল নদীর উপর কাঠের সেতুটি তৈরি করা হয়। সেতুটি লাগোয়া আন্তর্জাতিক ৯৪০নং মেইন পিলার রয়েছে। ৩ নং সাব পিলারের ৫০গজ অদূরে এ সেতুটি দিয়ে চলাচল করছেন প্রশাসন, বিজিবিসহ সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। কলসের মত ভূ-খন্ড গ্রামটির তিন দিকে রয়েছে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া।
দক্ষিণে নীলকমল নদ। প্রায়ই বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা টহল দিতে আসেন এখানে। নদীটি কখনো ভারতে আবার কখনো বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি ছোট আকারের হলেও বর্ষার সময় পানিতে ভরে থাকে। প্রচুর স্রোত হয় বর্ষা মৌসমে। তখন শিশুদের হাত ধরে পারাপার করতে হয়। এতে দুর্ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার। এই কাটের সেতুটি মাঝে ১৫ বছর ছিল না।
পরে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করতে হয়েছে। ২০১৬ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার স্থানীয়দের সাথে নিয়ে পুনরায় একটি কাঠের সেতু নির্মান করা হয়েছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করছি। তাই স্থায়ী ভাবে একটি কংক্রিটের সেতু নির্মানের খুবই প্রয়োজন। প্রশাসন এ সেতুটি নির্মানের উদ্যোগ নিলে আমাদের দুর্ভোগ শেষ হয়।
আরও পড়ুনফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ-হারুন জানান, নীলকমল নদীর উপর পূনরায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। লোকজনও চলাচল করছেন। তবে কংক্রিটের সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল অনেক বার। ভারতীয় বিএসএফের বাঁধার মুখে তা করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ জানান, নাখারজার নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রয়োজন। তবে সীমান্তে এ সেতু নির্মাণ দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়। সেতু নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন