স্রোতস্বিনী গাজনার বিলে মাছের পরিবর্তে পেঁয়াজ চাষ
সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগরের এক সময়ের প্রচণ্ড স্র্রোতস্বিনী গাজনার বিলের অধিকাংশ এলাকা চলতি শীতের মৌসুমে শুকিয়ে গেছে। ফলে বিলে এখন মাছের পরিবর্তে আবাদ হচ্ছে পেঁয়াজ।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানা মিলে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে গড়ে উঠা ওই বিলে এক সময় সারাবছর পানি থৈথৈ করতো। সে সময় উপজেলার মৎস্যজীবীরা বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু কালের আবর্তনে বর্তমানে বিলটিতে আর সারাবছর পানি থাকে না। বিলটিতে বছরের ৬ মাস পানি থাকলেও আর ৬ মাস শুকনা থাকে।
চলতি শীতের মৌসুমে গাজনার বিলের খালের অংশ ছাড়া বেশির ভাগ এলাকা শুকিয়ে গেছে। ফলে বিলে এখন আর মাছ মিলছে না। তবে বর্তমানে বিলে মাছ না মিললেও পেঁয়াজের আবাদ হচ্ছে চোখে পড়ার মতো।
বিলপাড়ের উলাট গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, গাজনার বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বিল পাড়ের প্রায় অর্ধশত গ্রামের হাজার হাজার কৃষক বিশাল বিলের বুক জুড়ে পেঁয়াজ আবাদ করছেন। বর্তমানে বিল জুড়ে শোভা পাচ্ছে শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ।
বিল পাড়ের দুর্গাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক কামরুজ্জামান বলেন, গাজনার বিলে কখনও ফসল আবাদ করা যাবে একথা ভাবাই যায়নি। কেননা বেশিদিন আগের কথা নয়, গাজনার বিলের বিশাল ঢেউয়ের তোড়ে বিল পাড়ের মানুষের বাড়ি-ঘর ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। মানুষ অনেক সময় ভয়ে খেয়া নৌকায় ওই বিল পার দিয়ে কোথাও যাওয়ার সাহস পায়নি।
আরও পড়ুনআর মাছের কথাতো বলেই শেষ করা যাবে না। বিলে মাছ আর পানি ছিল প্রায় সমান। অথচ কালের আবর্তনে আজ সেই স্রোতস্বিনী গাজনার বিল শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে ফসল আবাদ হচ্ছে। শুধু তাইনা গাজনার বিলে পেঁয়াজ ও ধান আবাদ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, গাজনার বিল এখন বিলপাড়ের মানুষের জন্য আর্শীবাদ। কেননা সুজানগরবাসীর প্রধান অর্থকরী ফসল পেঁয়াজ। আর চলতি মৌসুমে সেই পেঁয়াজ গাজনার বিলে ব্যাপকভাবে আবাদ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন