সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর (এফ) রহমানের ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনগণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন
সিআইডি জানিয়েছে, সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন দুইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড ২১টি এলসির মাধ্যমে দুবাইয়ে অবস্থিত তার ছেলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং এফজেডই’ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্থ পাচার করে। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দুই কোটি ৬০ লাখ ৯৮৪ ইউএস ডলারের পণ্যমূল্য রপ্তানি করে এই অর্থপাচার করা হয়েছে। এ নিয়ে মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত চলছে।
সিআইডি বলছে, এজাহারনামীয় আসামিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করে। তাই আসামিদের নামে ঢাকার দোহার থানা এলাকায় থাকা প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি এবং জমির ওপর নির্মিত স্থাপনা, গুলশান-২ নম্বরের The Envoy 84 ভবনে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে ৬ হাজার ১৮৯ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশান আবাসিক এলাকার ৬৮/এ নম্বর সড়কের ৩১ নম্বর প্লটের ওপর নির্মিত ট্রিপ্লেটস নামে ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার (পূর্ব মধ্য দিকের বি ১/২ (ডুপ্লেক্স) ২ হাজার ৭১৩ বর্গফুটের আরও একটি ফ্ল্যাট আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে। এসব সম্পদের বর্তমান মূল্য ২৫০ কোটি টাকা।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের স্বত্বাধিকারী সালমান এফ রহমানসহ ২৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করে সিআইডি।
মন্তব্য করুন