ভিডিও রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

গভীর রাতে শহীদ মিনার ভাঙচুর; ২ তদন্ত কমিটি

গভীর রাতে শহীদ মিনার ভাঙচুর; ২ তদন্ত কমিটি

নিউজ ডেস্ক:  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি কলেজের শহীদ মিনার বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভেঙে ফেলার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

এদিকে, ওই ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করা হয়েছে বলে জানান চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বলেন, “শহীদ মিনার ভাঙার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি। ঘটনা তদন্ত করতে উপজেলা কৃষি অফিসার জোবায়ের আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- উপজেলা প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মীর হোসেন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে, কলেজের পক্ষ থেকে আরো একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার ওসমানকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কলেজের অপর দুই শিক্ষককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে শিক্ষকরা এবং পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা কলেজ চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সবাই ক্যাম্পাস থেকে চলে যান। রাত ২টার দিকে বিকট শব্দ পেয়ে কলেজের নৈশপ্রহরী শহীদ মিনারের কাছে যান। তিনি দেখতে পান, শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি ভেঙে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা।

গুণবতী ডিগ্রি কলেজের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “কলেজের শহীদ মিনারটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে কেউ না ভাঙলে এভাবে এটির নিচে পড়ে যাওয়ার কথা নয়।”
কলেজের নৈশপ্রহরী শামসুল আলমের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, “রাত প্রায় ২টার দিকে বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে শহীদ মিনার চত্বরে যান নৈশপ্রহরী। সেখানে গিয়ে দেখেন শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি স্তম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন বলেন, “কলেজের পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করা হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় এখনই ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “শহীদ দিবসে শহীদ মিনারের প্রতি এমন আক্রোশ মেনে নেওয়া যায় না। আশা করব, দ্রুত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা জড়িতদের শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে। অপরাধীরা রক্ষা পেয়ে গেলে এমন ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে।”

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধামরাইয়ে ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়ে মার খেলো পুলিশ 

গোপালগঞ্জে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার নিহত

নরসিংদীতে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যু 

রংপুরের বদরগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ফরিদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু