ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

‘সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজারের নিচে হলে পত্রিকা বন্ধ’ 

‘সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজারের নিচে হলে পত্রিকা বন্ধ’, ছবি: সংগৃহীত।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা চাই প্রত্যেক সাংবাদিক যেন ভালো বেতন পান। দেশের সাংবাদিকের জন্য একটা ফ্লোর বেতন থাকতে হবে। একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। এটা ৩০ হাজার হোক বা ৪০ হাজার হোক এর নিচে নামা যাবে না। সাংবাদিকের বেতন ৩০ হাজারের নিচে হলে পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। 

শফিকুল আলম বলেন, তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অতো শিক্ষিত না হলেও ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আপনার আমার থেকে ১০০ গুণ এগিয়ে আছে। তারা মিনিমাম ওয়েজের জন্য লড়াই করে সাড়ে ১২ হাজার টাকা আদায় করেছে। কিছুদিন আগে আরও নয় শতাংশ বাড়িয়েছে। এটা করেছে আন্দোলন করে। ঠিক তেমনি আমার মনে হয় বাংলাদেশের সাংবাদিকদের একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। এর নিচে যারা দেবেন সেই পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই ওয়েবসাইটের দরকার নেই। ঢাকাচুরি.কম চালাবেন দরকার নেই। শফিকুল আলম আরও বলেন, সাংবাদিকতা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা রক্তচোষার মতো হয়ে গেছে। আমি মনে করি সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলো এখানে ফেল করছে। তাদের আওয়াজ তুলতে হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সাংবাদিক ভালো বেতন পাক। এক্ষেত্রে মিনিমাম একটা ফ্লোর থাকতে হবে। এজন্য সত্যিকার অর্থে মুভমেন্ট করা উচিত। আওয়াজ তুলতে হবে। আপনাদের উচিত আন্দোলন করা।

প্রেস সচিব বলেন, সাংবাদিকতাকে একজন পেশা হিসেবে নেন। অথচ আপনার এ পেশায় আসাটাকে ব্যবহার করেন মালিকরা। এটা বছরের পর বছর হচ্ছে। একজন সাংবাদিককে পাঁচ হাজার, ১০ হাজার টাকা বেতন দেন। কী ভয়াবহ অবস্থা। আমরা আপনাদের স্বীকৃতি দিচ্ছি অথচ কারও বেতন বাড়াচ্ছি না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দুই-তিনজন আসছেন আমি এটার সম্পাদক। উনি দুই-তিন জন লোক রেখে দিয়েন তারা এক দুইটা রিপোর্ট ভালো করে। আর বাকিগুলো চুরি করে। তাদের কাজই হচ্ছে চুরি করা। এই সাংবাদিকতার প্রয়োজন নেই। যারা সারাদিন খেটে সাংবাদিকতা করে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। এজন্য তাদের একটা বেসিক বেতন ধরা উচিত। এই বিষয়ে আপনাদের আন্দোলন করা উচিত। এই জায়গায় আমি আপনাদের সাথে আছি।

আরও পড়ুন

প্রেস সচিব আরও বলেন, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের যে কাজ সেটা সত্যি অভাবনীয়। গত জুলাই আন্দোলনে আমরা প্রথম তথ্য পেয়েছি যারা এই সিটিজেন জার্নালিজম করে তাদের কাছ থেকে। এদের অনেকেই মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার। তাদের কাজের ব্যাপকতা অনেক। আপনারা দ্রুত মানুষের কাছে নিউজ পৌঁছে দিচ্ছেন।শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনার আমলে কোনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। আপনাদের হাতেই প্রথম হাসিনাকে পুশব্যাক করেছি। আপনারা স্মার্টলি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আবার পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন। গণঅভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়ার যে অবদান সেটা আমরা সারাজীবন মনে রাখবো। এই গণঅভ্যুত্থানে পাঁচজন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। তাদের নাম সারাজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

প্রেস সচিব বলেন, আপনাদের মনে আছে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল রাইটার্স গ্রুপ তারা যাত্রাবাড়ী কিলিংয়ের ওপর ১৫ মিনিটের একটা ডকুমেন্টারি করেছে। জুলাই-আগস্টে যে ভয়ানক মাস-মার্ডার হয়েছে সেটার একটা বড় দলিল হচ্ছে এই ডকুমেন্টারি। এটা তৈরি করেছে ছয় হাজার ভিডিও থেকে। এই যে ভিডিও ও ছবি তোলার কাজটা আপনারা ঝুঁকি নিয়ে করেছেন। এজন্যই এটা সবাই জানতে পেরেছে। এজন্য সবাইকে আপনাদের স্যালুট করা উচিত। আপনারা অকুতোভয় সাংবাদিকতা করেছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লিফটে আটকা পড়ে চার বছরের শিশুর মৃত্যু

ছেলের বৌ এর সাথে টাকা নিয়ে ঝগড়ার জেরে নাতিকে হত্যা, দাদি আটক

বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

বেনাপোল শনিবার বন্ধ আমদানি-রপ্তানি, যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক   

জামালপুরে ইফতার নিয়ে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ৬

ইফতারে সতেজতা আনবে যে পানীয়গুলো